গরিবের জুতা থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি
ফারহান ফারুক : ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে উৎপাদিত প্লাস্টিক পাদুকা ও রাবারের হাওয়াই চপ্পলের ওপর নতুন করে আরোপিত মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতির জোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি ও বাংলাদেশ রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সাংবাদ সম্মেলনে সংগঠনগুলো এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, আমরা যারা প্লাস্টিকের ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিক পাদুকা (জুতা, স্যান্ডেল) তৈরি করছি তার বেশিরভাগই ছোট ছোট কারখানা। আমরা এমন দ্রব্য দিয়ে পণ্য বানাই যা বর্জ্য হিসেবে মানুষ ফেলে দেয়। আমরা এসব দিয়ে পণ্য বানিয়ে পরিবেশের উপকার করি সেজন্য এই শিল্পে ভ্যাট বহাল করা অনৈতিক। অন্যদিকে, অ্যালুমিনিয়াম তৈজসপত্র, প্লাস্টিকের গৃহস্থালি সামগ্রী, প্লাস্টিক রি-সাইক্লিন দানা, ৬০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, পাদুকা ও রাবারের জুতা একই শিল্প। বাজেটে ওইসব পণ্যের ওপর অতীতের ন্যায় ভ্যাট অব্যাহতি থাকলেও শুধুমাত্র পাদুকা জুতার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। তাই অন্যসব পণ্যের ন্যায় আমরা পাদুকার ওপর ভ্যাট অব্যাহতির দবি জানাচ্ছি। যদি প্রত্যেক স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়, তাহলে কাঁচামাল সরবরাহ থেকে শুরু করে ভ্যাট দিয়ে ফ্যাক্টরি, বিক্রেতা হয়ে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছাতে মূল্য অনেক বেড়ে যাবে। যা দেশের দরিদ্র জনসংখ্যার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। আর ভ্যাট বহাল করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিদের সাথে এ শিল্পকে প্রতিযোগিতায় নামিয়ে এ শিল্প ধ্বংসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আবার, বিমা সুবিধা না থাকার ফলে আমরা ঝুঁকি মুক্ত নই। বক্তারা বলেন, আমাদের পণ্য যারা ব্যবহার করে তারা দরিদ্র যার বেশির ভাগ কৃষক, শ্রমিক, রিক্সাওয়ালা, ঠেলাগাড়িওয়ালা। এই গরিব মানুষগুলো গ্রীষ্মকালে পিচঢালা পথে এবং শীতকালে তীব্র শীত নিবারণের জন্য প্লাস্টিক পাদুকা ব্যবহার করে থাকে। তাই এ আমরা ভ্যাট অব্যাহতি চাচ্ছি।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÑ বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুকারক সমিতির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বেলাল, বাংলাদেশ রাবার ইন্ডাস্ট্রিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হাসেন বাবুল, সহ-সভাপতি শাকিল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।