তিনটি কারণে হাসানুল হক ইনুর বিচার হওয়া উচিত : রিজভী
কিরণ সেখ : ভারতের কূটনৈতিকের উপর আক্রমণসহ আরও দুটি অপরাধে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর বিচারের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ দাবি জানান।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, তিনটি কারণে হাসানুল হক ইনুর বিচার হওয়া উচিত। প্রথমত ৭২-৭৫ সালে সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে গুলি করা হয়েছিল। দ্বিতীয়ত, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লিফলেট বিতরণ করে সেনাবাহিনীকে অস্থির করে তোলা হয়েছিল। তৃতীয়ত, ভারতের কূটনৈতিকের উপর আক্রমণ করেছিলেন। এটা একটি ভয়ঙ্কর অপরাধ। এই তিন কারণে ইনুর বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জাসদ সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম শুধু নয় কারণ আজকে দেশে যে জঙ্গিবাদের উত্থান তা ইনুর মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আশরাফুল ইসলামের বক্তব্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মনের কথা। কারণ স্বাধীনতা উত্তর পূর্ব সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পেছনে জাসদের ভূমিকা ছিল। জাসদের মধ্যে কিছু ভালো লোকও ছিল। কিন্তু ইনুর নেতৃত্বে দেশকে অস্থিতিশীল করা হয়েছিল। রাজনৈতিক আন্দোলন চলতেই পারে কিন্তু ইনুর কর্মকা- ছিল সন্ত্রাসমূলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে নিজের পিতার রক্তের সাথে প্রতারণা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
জঙ্গি অভিযানের নামে সারাদেশে এখন ভয় আর ত্রাস চলছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রমজান মাসের পবিত্রতাকে অগ্রাহ্য করে এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযান সারাদেশের মানুষকে উৎকণ্ঠিত এবং উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, এই অভিযান প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের ধৃত নয় বরং দেশের ও বিশ্বের মানুষকে বিভ্রান্ত করাটাই মুখ্য উদ্দেশ্য। ঈদের আগে পুলিশের গ্রেফতার বাণিজ্যকে আরও রমরমা করার জন্যই অসহায় সাধারণ মানুষদের আটক করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন রিজভী। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নির্মম সত্য হলো, শেখ হাসিনা শুধু গণতন্ত্রকেই ঘৃণা করেন তাই নয়, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি সারাদেশে জঙ্গিবাদের পরিচর্যা করেন। সেজন্যই এখন দেশব্যাপী জঙ্গিদের নির্দয় হত্যালীলা চলছে। আর শেখ হাসিনার আশীর্বাদে এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম