অপচয় ও অতি ভোজ পরিত্যাগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমবে
আমিন ইকবাল : রমজান মাসে খাবার টেবিল থেকে অপচয় ও অতি ভোজ ছাড়তে পারলে বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমে আসবে বলে মনে করেন রাজধানী ঢাকার জামিয়া মাহমুদিয়া মেরাদিয়া মাদরাসার পরিচালক মুফতি নুরুল আলম ইসহাকী। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ তিনি বলেন, রমজান সংযমের মাস। আত্মশুদ্ধির মাস। রমজানে দিনের বেলা উপবাস থাকার পাশাপাশি ইফতার-সেহরিতেও নিজেকে সংযত রাখতে হবে। নিয়ন্ত্রিত খাবার খেতে হবে। অতি ভোজ এবং অপচয় পরিত্যাগ করতে হবে। এতে অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির সুযোগ পাবে না!
মুফতি নুরুল আলম ইসহাকী বলেন, মহান আল্লাহর দরবারে আমাদের রোজাকে কবুল করাতে হলে ছয়টি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। ১. রোজা অবস্থায় চোখের হেফাজত করতে হবে। চোখের গোনাহÑ নাচ-গান দেখা, বে-পর্দায় মেয়েদের দেখাÑ এসব ছাড়তে হবে। ২. জবান বা মুখ সংযত রাখতে হবে। মুখ দ্বারা যেসব পাপ আমরা করে থাকিÑ এরমধ্য ভয়াবহ হলোÑ মিথ্যা বলা ও গিবত করা। এসব থেকে দূরে থাকতে হবে ৩. আমাদের কান সংযত রাখতে হবে। রোজা অবস্থায় কানের দ্বারা গান বা পরনিন্দা শোনা যাবে না। ৪. হাত-পায়ের গোনাহ থেকে বিরত থাকতে হবে। হাতের দ্বারা অন্যায়ভাবে কাউকে প্রহার করা যাবে না, সুদ-ঘুষের টাকা নেওয়া-দেওয়া যাবে না। ৫. অতি ভোজ পরিহার করতে হবে। রমজানে ইফতার-সেহরিতে নিয়ন্ত্রিত খাবার খেতে হবে। সারাদিন উপোস থেকে রাতে অনিয়ন্ত্রিত খাবারগ্রহণÑ একইসঙ্গে স্বাস্থ্য এবং ইবাদতের জন্য ক্ষতিকর। ৬. আল্লাহ আমাদের রোজা কবুল করবেন কি করবেন না!Ñ এই ভয় রাখতে হবে।
আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, রমজান মাস সংযমের মাস। ইবাদতের মাস। এ মাসে রাত-দিনে আমরা বেশি বেশি ইবাদত করব। বেশি বেশি দান-সদকা করব। সাহাবাগণ বলেন, ‘তুফান এলে বাতাসের বেগ যেমন বেড়ে যায়Ñ রমজান এলে তেমনি রাসুল সা.-এর দানের হাত অবারিত হয়ে যেত। তিনি বেশি বেশি দান করতেন। আসুন, আমরাও নবিজীর মতো বেশি বেশি দান করার চেষ্টা করি রহমতের এই মাসে। সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী