রোযার মাসটা অন্য মাসের চেয়ে আলাদা। ফলে খাবার ও স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যতœ প্রয়োজন। ইফতারের তুলনায় সেহরির সময় প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত। সেহ্রি সঠিকভাবে খাওয়া না হলে, দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখা সত্যিই কঠিন। তবে, আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত, মাঝে মধ্যে বৃষ্টি মানুষের মধ্যে স্বস্তি ও প্রশান্তি দিচ্ছে রোজা রাখতে।
সেহরিতে মশলাযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। ভাতের সঙ্গে মাছ, প্রোটিনযুক্ত খাবার, সবজি ও দুধ শরীরের জন্য ভালো হয়। তবে, যাদের দুধ খাওয়াতে হজমে অসুবিধা হয়, তারা চাইলে টকদই, ছানা ইত্যাদিও খেতে পারেন। এতে করে সারা দিনের পানির ঘাটতি অনেকটা পূরণ হয়। সুগারের সমস্যা আছে, কিন্তু রোজা রাখতে চান। তারা বেশি না হলেও একটা খেজুর খেতে পারেন। আর যাদের সুগারের সমস্যা নেই, তারা সেহরিতে ৪-৫টা খেজুর খেতে পারেন। এতে করে সারাদিনের ক্যালরি, এ্যানার্জির ঘাটতি পূরণে সহায়তা হয়। খেজুর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। খেজুর প্রচুর এ্যানার্জি দেয় এটা প্রমাণিত।
অনেকে সেহরিতে পেটপুরে খেয়ে থাকেন। ভরপেট খাওয়া মোটেও উচিত নয়। সেহরির সময় পেটে কিছুটা ক্ষুধা রেখে খাবার খাওয়া শেষ করা উচিত। সেহরি ভরপেট খেলে সারাদিন অস্বস্তি থাকে। সেহরির সময় কয়েকবারে প্রচুর পানি পান করা উচিত।
ইফতারের সময় অনেকে ভাজা-পোড়াÑ বেগুনি, আলুচপ, পেয়াজু এসব দিয়ে ইফতার করে থাকেন। এটা মোটেও ঠিক নয়। ফল দিয়ে ইফতারি করা খুবই উপকার। এখন আম, কাঁঠাল, লিচু ইত্যাদি বাজারে সহজলভ্য। ফলে ইফতার মেনুতে ফল রাখতে পারেন। হালিম অনেকের পছন্দ। তবে বাজারে তৈরি হালিমের চেয়ে ঘরে হালিম তৈরি করতে পারলে ভালো।
ইফতার শরবত দিয়ে শুরু করা উচিত, যেমনÑ ডাবের পানি, লেবু, আম, মাল্টা ও ইসুবগুলির ভূসির শরবত ইত্যাদি। অনেকে দোকান থেকে কেনা প্যাকেটজাতও জুস দিয়ে ইফতার করে থাকেন। সেটা না করে বাড়িতে শরবত বানাতে পারলেই ভালো। যাদের লেবুর কারণে পেটে গ্যাস হয় তারা লেবু বাদ দিয়ে অন্যান্য শরবত ইফতার মেনুতে রাখতে পারেন। ইফতারিতে একমুট ডাল ও অন্যান্য সবজি দিয়ে খিচুরি রান্না করা যেতে পারে। আরও ভালো হয় যদি মিক্সড ডাল ব্যবহার করেন সঙ্গে। সবচেয়ে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হলো, ইফতারের পর থেকে সেহরি পর্যন্ত বেশ কয়েকবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। একবারে বেশি করে পানি না খেয়ে একটু একটু করে খাওয়া ভালো।
পরিচিতি : বিউটি এন্ড নিউট্রিশন এক্সপার্ট
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন