এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ৬৫ টাকা সর্বোচ্চ ১৬৫০
রফিক আহমেদ : এ বছর সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি ৬৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৫০ টাকা। গত ঈদুল ফিতরেও এ পরিমাণ ফিতরা ছিল বলে জানা গেছে।
গতকাল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে ফিতরা নির্ধারণী সভার পর এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ইসলামী শরীয়াহ মতে আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটি দ্বারা ফিতরা প্রদান করা যায়। আটা দ্বারা ফিতরা আদায় করলে এক সা’ বা ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৬৫ (পঁয়ষট্টি) টাকা আদায় করতে হবে। যব দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২০০ (দুইশত) টাকা, কিসমিস দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১০০০ (এক হাজার) টাকা, খেজুর দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা তিন কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) টাকা, পনির দ্বারা আদায় করলে এক সা’ বা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ১৬৫০ (এক হাজার ছয়শত পঞ্চাশ) টাকা ফিতরা আদায় করতে হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ড. মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল প্রফেসর সিরাজ উদ্দিন আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইয়েদ আবদুল্লাহ আল মা‘রূফ, ঢাকা নেছারিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার সালেহী, কাদেরিয়া তৈয়্যবিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুফতী মাওলানা মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাওলানা হাবিবুল মতিন সরকার, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ, উপ-পরিচালক ড. মাওলানা আবদুল জলীল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতী মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুল্লাহ, মুহাদ্দিস মাওলানা ওয়ালীয়ুর রহমান খান, মুফাসসির ড. মাওলানা আবু ছালেহ পাটোয়ারী, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, পেশ ইমাম মুফতী মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী, পেশ ইমাম মুফতী মাওলানা এহসানুল হক ও আহছানিয়া ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক শাইখ মুহাম্মদ উছমান গণী প্রমুখ। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম