পাখি কিরণমালার চাহিদা নেই শুরুতেই চড়া রাজধানীর ঈদের বাজার
ফয়সাল খান : প্রতিবছরই ঈদের বাজারে থাকে ভারতীয় চ্যানেলে প্রচারিত সিরিয়ালের অভিনেত্রীর নামে নতুন ফ্যাশন পোশাক। কিন্তু গত ২/৩ বছরের আলোচিত পোশাক পাখি বা কিরণমালা এবার ক্রেতাদের মাঝে প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করছেন ব্যবসায়িরা। এ জায়গা দখল করেছে ভারতের ব্যবসা সফল ছবি ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ও ‘বাহুবলী’ নামের নতুন পোশাক। এছাড়াও ঝলক, সারা, জারা, নন্দিনী নামের পোশাকের প্রভাবও রয়েছে রাজধানীর অভিজাত শপিংমলগুলোতে।
এদিকে রাজধানীতে ঈদের বাজার পুরোপুরি না জমে উঠলেও বিপণিগুলো অতিরিক্ত দাম চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। এছাড়া বড় বড় বিপণি বিতানের চেয়ে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের তুলনামূলক বেশি ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। রাজধানীর বসুন্ধরা শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, কেনাকাটা এখনও তেমন জমে উঠেনি এই মার্কেটে। বিক্রেতারা জানান, এবারের ঈদের অন্যতম আকর্ষণীয় পোশাক বাজিরাও মাস্তানি। ড্রেসটি পাওয়া যাচ্ছে ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া জারা, সারাহ নামের ড্রেসগুলো বিক্রি হচ্ছে ৩ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, ছোটদের জন্যও রয়েছে ৫ পিচের বাজিরাও মাস্তানির আরেকটি মডেল। এটি বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত। কথা হয় নিজের ২ মেয়ে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা সুমনা জাহানের সঙ্গে। তিনি জানান, ঈদে সবাই একটু নতুন মডেলের জামা পছন্দ করে। বাজিরাও মান্তানি পোষশাকটি খুব ভাল লেগেছে কিন্তু দামটা অনেক বেশি।
এবারের ঈদে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে নিজস্ব সৃষ্টিকর্মের পাশাপাশি বরাবরের মতোই ভারত, পাকিস্তানি, থাইল্যান্ড, চীন ইতালিসহ ইউরোপ ও আমেরিকার পণ্য ফ্যাশনের বাড়তি আবহ সৃষ্টি করেছে। বিক্রেতারা বলছেন, এখনও ক্রেতাদের ভিড় তেমন না থাকলেও আগামীকাল (শুক্রবার) ও তার পরের দিন (শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটির এই দুই দিনে কেনাকাটা জমে উঠবে বলে আশা করছি। পান্থপথের মাদল ফ্যাশনের পরিচালক মাসুমা খাতুন জানান, ১৫ রোজার পরে মূলত ঈদের বেচাকেনা শুরু হবে।
পাখি কিরণমালা জামা এখন আর কেউ কিনতে আসে না বলে জানান তিনি।
অভিজাত শপিং মলগুলোতে এখনওা ক্রেতাদের ভিড় না থাকলেও রাজধানীর ফুটপাতগুলো জমে উঠেছে ঈদের বাজার। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম, গুলিস্তান, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, পল্টন, মিরপুর, এলিফ্যান্ট রোড, মৌচাক মার্কেটের সামনের ফুটপাতগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ভালো শার্ট, প্যান্ট, ছোটদের সব ধরনের পোশাক, সালোয়ার কামিজ, থ্রি-পিসও পাওয়া যাচ্ছে ফুটপাতে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম