মোস্যাক ফনসেকার কম্পিউটার টেকনিশিয়ান গ্রেপ্তার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের শত শত প্রভাবশালী ব্যক্তির কর ফাঁকির তথ্য ফাঁস হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসা আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান মোস্যাক ফনসেকার একজন কম্পিউটার টেকনিশিয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবিসি বলছে, মোস্যাক ফনসেকা থেকে বিপুল সংখ্যক তথ্য সরিয়ে নেওয়ার সন্দেহে প্রতিষ্ঠানটির জেনেভা কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিডিনিউজ
প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওই কর্মী সম্পর্কে আইন কর্মকর্তাদের কাছে তথ্য দেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি তাদের ওই কর্মীর বিরুদ্ধে তথ্যচুরি, অনুমোদন ছাড়া তথ্যভা-ারে প্রবেশ এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ এনেছে। তবে চলতি বছরের এপ্রিলে ‘পানামা পেপার্স’ পরিচিতি পাওয়া তথ্যফাঁসের ঘটনার সঙ্গে এই কর্মীর বিরুদ্ধে আনা তথ্যচুরির অভিযোগের সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তবে পানামা পেপার্স প্রথম যারা দেখেছেন তাদের একজন জার্মান সাংবাদিক বাস্তিয়ান ওবেরমায়ার বলেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি ওই বিপুল সংখ্যক তথ্যফাঁস করেছেন (হোস্টাইলব্লোয়ার), তা তিনি বিশ্বাস করেন না। ‘পানামা পেপার্স’ ফাঁসের ঘটনায় এপ্রিলে জেনেভার আইন কর্মকর্তারা অপরাধ তদন্ত শুরু করেন। এই তথ্যফাঁসের অজ্ঞাত একটি সূত্র মে মাসে ক্ষমার শর্তে আইনি কর্তৃপক্ষকে সহায়তার প্রস্তাব দেন। ওই বিবৃতি দেওয়ার পর ওই সূত্র আইনপ্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন কিনা তাও জানা সম্ভব হয়নি। মোস্যাক ফনসেকার মাধ্যমে অফশোর লেনদেনের এক কোটি দশ লাখ নথি জার্মান পত্রিকা ‘জুডডয়েচে সাইটুং’ এর হাতে এলে ওয়াশিংটনভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট এর মাধ্যমে তা চলতি মাসের শুরুতে সারা বিশ্বের সংবাদ মাধ্যমে আসতে শুরু করে। এ ঘটনা পরিচিত হয়ে ওঠে পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারি নামে। বিশ্বের ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কোন কৌশলে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন এবং গত ৪০ বছর ধরে মোস্যাক ফনসেকা তাদের ক্ষমতাশালী মক্কেলদের কীভাবে কর ফাঁকি দিতে ও অর্থ পাচারে সহযোগিতা করেছেন তা বেরিয়ে আসতে থাকে এসব নথি থেকে।
পানামা পেপার্সে নাম আসার পর জনদাবির মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসন। দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের চিলি চ্যাপ্টারের প্রধানকেও পদত্যাগ করতে হয়। শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসা মোস্যাক ফনসেকা বলছে, তাদের নথি ফাঁস হয়নি, হ্যাকড হয়েছে। আর তাদের কাজ নিয়ে কোনো অভিযোগও এর আগে কখনো ওঠেনি।