গোলাম মোস্তফা খান, দাকোপ : কিছু দিন হরিণ শিকার কিছুটা কম হওয়ার পর আবারও খুলনার দাকোপ উপজেলা সংলগ্ন সুন্দরবন এলাকায় অবাধে বন্দুক, ফাঁদ ও বর্শিসহ নানা কৌশলে কাঁকড়া শিকারীরা দেদারছে হরিণ শিকার করে মাংস ও চামড়ার বাণিজ্য করে চলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা সদর ও আশপাশ এলাকার বিশেষ ব্যক্তিদের সহযোগীতায় অত্যন্ত খোলামেলাভাবেই হরিণ শিকার করে থাকে অনেক বছর আগে থেকে। মাসের বিশেষ কয়েকটি দিবসে বিশেষ করে অমাবস্যার গোনে অন্ধকার রাত্রিতে ট্রলার যোগে সুন্দবনে ঢুকে বন্দুক ও ফাঁদের সাহায্যে হরিণ শিকার করে ভোর রাতে ট্রলার ভর্তি হরিণের মাংস নিয়ে চালনা, বাজুয়া, খুটাখালী, পানখালী, খোনা এলাকায় ভেড়ে।
সম্প্রতি দাকোপের মুজামনগর বাজার থেকে র্যাব ৬ এর বিশেষ বাহিনী অভিযান চালিয়ে রবিউল ওরফে গ্লাসিকে ২টি চামড়াসহ আটক করে। জানাগেছে বর্তমানে কালাবগী, নলিয়ানের পাশাপাশি বানীশান্তা, ঢাংমারী, সুতারখালী, হড্ডা, লাউডোব, কয়রা, এলাকায়ও দেদারছে হরিণ শিকার চলছে। বাজারে খাসির মাংস ৬শ টাকা হলেও দুর্লভ হরিণের মাংস মাত্র ৪শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এ সকল কাকড়া কাম হরিণ শিকারীরা সকলের কাছে হরিণের মাংস বিক্রি করে না।
অপরদিকে জলদস্যু, বনদস্যু দমনের সুযোগে দাকোপ এলাকার বিশেষ বাহিনী স্থানীয় হরিণ শিকারীদের সাথে নিয়ে স্ন্দুরবনে ঢুকে তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় মাসের পর মাস হরিণ নিধন করে চলেছে। তবে এ সকল দমনে র্যাব ৬ এর ভূমিকা সবসময় প্রশংসার দাবি রাখে।
দাকোপ থানায় ইতিপূর্বে দায়িত্বরত জনৈক ওসি ও দুইজন দারোগার নেতৃত্বে দাকোপ অঞ্চলে হরিণ শিকারের যে মহোৎসব শুরু হয়েছিল যা সকলের আজও স্মরণ আছে।