আগৈলঝাড়া হাসপাতালে পোড়া ছয় রোগীর সফল চিকিৎসা
শামীম আহমেদ, বরিশাল :আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসা করাতে আর নামিদামী মেডিক্যাল কলেজে নিতে হবে না। এমন ধারণা পাল্টে দিয়েছেন জেলার প্রত্যন্ত আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহাবুব আলম মির্জা। ইতোমধ্যে তিনি নিজ তত্ত্বাবধানে উপজেলার ছয়জন আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসা করে পুরোপুরি সুস্থ করে সুনাম অর্জন করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার জলিরপাড় গ্রামের অমল বিশ্বাসের পাঁচ বছরের পুত্র অঙ্কন বিশ্বাস গরম ডালে পরে তার শরীরের ৩০ ভাগ অংশ পুড়ে যায়। অঙ্কনের স্বজনেরা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আবাসিক চিকিৎসক ও বার্ন স্পেশালিস্ট ডা. মাহাবুব আলম মির্জা অঙ্কনকে অন্যকোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না পাঠিয়ে নিজে দায়িত্ব হাসপাতালে ভর্তি করেই শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেন তাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলে।
উপজেলার গৈলা গ্রামের রেজাউল খানের ছয় মাসের কন্যা তোয়া আক্তার গরম পানিতে পরে শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায়। তাকেও চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করেন ডা. মাহাবুব আলম মীর্জা।
এভাবে গত দেড় মাসে উপজেলার বিভিন্নস্থান থেকে আসার আগুনে পোড়া ছয়জন শিশুকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাদের পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডা. মাহাবুব আলম মির্জা জানান, বেশিরভাগ মানুষই জানেন না, আগুনে পুড়ে গেলে সাথে সাথে কি করতে হবে। তাই বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণাবশত এটা ওটা করে পোড়ার ক্ষত আরও বাড়িয়ে ফেলা হয়। পুড়ে যাওয়ার পর পরই পোড়া স্থানটি কয়েক মিনিট ধরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। পুড়ে যাওয়া রোগীকে সম্ভব হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরই চিকিৎসকের কাছে আনতে হবে। এসব পোড়া রোগীকে ঢাকা, বরিশাল না পাঠিয়ে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। তাতে করে দারিদ্রপরিবারের রোগীদের আর্থিক সমস্যরায় পড়তে হবে না।