১৫ বছরে কেবল বাদীর সাক্ষ্য
নুরুল আজিজ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলায় ২০ জনের মৃত্যুর ১৫ বছরেও মামলা গতিশীল না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহতদের স্বজনরা। বৃহস্পতিবার সকালে চাষাঢ়া শহীদ মিনারের কাছে স্মৃতিস্তম্ভে নিহতদের স্মরণে ফুল দেওয়ার সময় তারা তাদের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
২০০১ সালের ১৬ জুন রাতে এক হামলায় শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল হাসান বাপ্পিসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ ২০ জন মারা যান। আহত হন আরও শতাধিক।
নিহত আক্তার হোসেনের স্ত্রী শাহানা আক্তার হতাশা প্রকাশ করে বলেন, নৃশংস বোমা হামলায় ২০ জন নিহত হলেও গত ১৫ বছরেও এর বিচার হয়নি। এটা হতাশাজনক। তিনি এ মামলার দ্রুত বিচার দাবি করেন।
নিহত মোশারফ হোসেন মশুর ছোট বোন নুরানী আক্তার শান্তা বলেন, বোমা হামলায় যেন আর কোনো মা তার সন্তান না হারায়। আর কোনো বোন যেন তার ভাইকে না হারায়। তিনি মামলার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
হামলার পর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা সদর মডেল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেওয়া অভিযোগপত্রে ৫৬ জন সাক্ষী থাকলেও সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র একজন, বাদী খোকন সাহা। তিনি বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে মামলার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মামলায় একটি ‘চূড়ান্তফল’ পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।
পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন বলেন, বিভিন্ন কারণে চাঞ্চল্যকর মামলা দুটির কার্যক্রম এগোয়নি। ‘মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নান শতাধিক মামলার আসামি। এ মামলায় শুনানির দিন তিনি অন্য মামলায় অন্য আদালতে হাজির থাকায় শুনানি পিছিয়ে যায়।’
পরবর্তীতে যাতে সাক্ষ্যগ্রহণ যথাসময় সম্পন্ন করা যায় সেজন্য রাষ্ট্রপক্ষ যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বলে তিনি জানান। মামলায় পুলিশ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল ও মুফতি আবদুল হান্নান কারাগারে।
দুই ভাই আনিসুল মোরসালিন ও মাহবুবুল মুত্তাকিন দিল্লিতে জঙ্গি হামলার অভিযোগে ভারতের কারাগারে আটক। কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু জামিনে রয়েছেন। অপর আসামি ওবায়দুল হক পলাতক।