আজাদ হোসেন সুমন ও সুজন কৈরী : পাবনার সৎসংঘ অনুকুল আশ্রমের সেবক নিত্য রঞ্জন পান্ডে হত্যা ও হিন্দু বৌদ্ধ খিস্টান ঐক্য পরিষদকর্তৃক ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তা চাওয়ার বিতর্কের রেশ কাটতে না কাটতেই সম্প্রতি লিখিত চিঠি দিয়ে রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিত কুপিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে চলতি মাসের ২০ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে তাকে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে। এদিকে সংখ্যালঘু ধর্মগুরু হত্যা ও হুমকির বিষয়টিকে গুরুত্বে সঙ্গে নিয়েছে সরকার। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্তা ব্যক্তিরা নড়েচড়ে বসেছে।
এদিকে রামকৃষ্ণ মিশনে চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকির ঘটনাটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মনিরুল ইসলাম বলেন, চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকির বিষয়টি আমরা শুনেছি। বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে। এর আগে গত বুধবার সন্ধ্যায় রামকৃষ্ণ মিশনে ধর্মপ্রচার নিষেধ করে চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় মিশনের পুরোহিত মৃদুল মহারাজ ওই রাতেই ওয়ারী থানায় একটি জিডি করেন।
এ বিষয়ে ওয়ারি থানার ওসি জিহাদুল ইসলাম জানান, রামকৃষ্ণ মিশনের সবাইকে হত্যার হুমকি দেওয়া চিঠির ওপরের অংশে কম্পিউটার টাইপে লেখা ‘ইসলামিক স্টেট অব বাংলাদেশ, চান্দনা চৌরাস্তা ঈদগাঁও মার্কেট, গাজীপুর মহানগর’ লেখা রয়েছে। প্রেরকের নাম এ বি সিদ্দিক। চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, ‘তোমরা হিন্দু। বাংলাদেশ একটি ইসলামি রাষ্ট্র, এ দেশে ধর্ম প্রচার করতে পারবে না। তোমরা ভারতে যাও। না হলে তোমাদের কুপিয়ে হত্যা করা হবে।’
ওসি জানান, এ ঘটনার পর থেকে রামকৃষ্ণ মিশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রামকৃষ্ণ মিশনের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, চিঠি প্রেরণকারী অত্যন্ত ধুর্ত, মোবাইল ফোনে হুমকি দিলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় তারা কৌশল হিসেবে চিঠির মাধ্যমে হুমকি দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তবে কৌশল যাই অবলম্বন করুক না কেন হুমকিদাতা গ্রেফতার হবেই। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম