হালাল খাবার খেয়ে রোজা রাখুন
আমিন ইকবাল : কোনো ধরনের হারাম নয়; সম্পূর্ণ হালাল খাবার খেয়ে রোজা রাখুন। হারাম রিজিক খেয়ে করা ইবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না। কাবা শরীফের সামনে দীর্ঘ সিজদা করলেও কবুল হবে না। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক অনুষ্ঠান ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন, রাজধানী ঢাকার জামিয়া ইসলামিয়া দিলুরোড মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা আবু বকর সাদী।
মাওলানা আবু বকর সাদী বলেন, পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেন, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা হালাল রিজিকের সন্ধানে জমিনে ছড়িয়ে পড়ো।’ হাদিসে আছেÑ ‘অন্যান্য ফরজ আদায় করার পর হালাল রিজিক অন্বেষণ করা তোমাদের অন্যতম দায়িত্ব।’ ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত হালাল রিজিক বক্ষণ। অতএব, পবিত্র রমজানে হালাল রিজিক উপার্জন ও বক্ষণে বিশেষ সতর্ক থাকা চাই।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, কেউ যদি এমন হয় যে, তার উপার্জন হারাম, তার বিষয়ে বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, বরেণ্য মুফতি, ডা. আব্দুল হাই বলেন, সেই ব্যক্তি রমজানে সম্ভব হলে এক মাসের জন্য অফিস থেকে ছুটি নেবে। এই একমাস অন্যভাবে হালাল উপার্জন করে রোজা পালন করবে। অফিস থেকে ছুটি নেয়ার সুযোগ না থাকলে পরিচিত কারও থেকে এক মাসের খরচ পরিমাণ টাকা ঋণ নেবে। সেই টাকায় রমজানের একটি মাস কাটাবে। তবুও হারাম উপার্জনের টাকার খাবার খেয়ে রোজা পালন থেকে বিরত থাকে। তবেই আমাদের রোজা কবুল হতে পারে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম