অর্থপাচার মামলায় তারেক মামুনের রায় যেকোনো দিন
এস এম নূর মোহাম্মদ : অর্থপাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের এবং সাজার বিরুদ্ধে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ মামলার রায় ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে যেকোনো দিন ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। এ মামলায় তারেক রহমানের খালাস পাওয়ার রায়ের বিরুদ্ধে দুদকের করা আপিলের পর ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পন করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। কিন্তু তিনি আজ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেননি।
এরপর মামলাটি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কার্যতালিকায় এলে গত ১২ জানুয়ারি ফের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর তারেক রহমানকে আত্মসমর্পণ ও আপিলের বিষয়ে অবহিত করতে গত ২০ ও ২১ জানুয়ারি দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন আদালত। একইসঙ্গে লন্ডন ও ঢাকার ঠিকানায় সমনের নোটিসও পাঠিয়েছেন বিচারিক আদালত।
২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় এ মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এরপর মামুন ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে তার নামের ব্যাংক হিসাবে জমা করেন। এ টাকার মধ্যে তারেক রহমান তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এ মামলায় তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন। তবে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদ- দেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত। রায়ে কারাদ-ের পাশাপাশি মামুনকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়।
পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন। অপরদিকে তারেক রহমানের খালাসের বিরুদ্ধে আবেদন করে দুদক। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম