দেশের চাহিদা মিটিয়ে ফল রপ্তানি করা সম্ভব : বাণিজ্যমন্ত্রী
হাসান আরিফ : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বিদেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। দেশে এখন প্রায় ৮০ প্রজাতির ফল উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে অনেক ফলই বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ অডিটরিয়ামে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘অর্থ পুষ্টি স্বাস্থ্য চান, দেশি ফল বেশি খান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারের আগে তিনি তিনদিনব্যাপি জাতীয় ফল ও বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ২০১৬ এবং জাতীয় ফল প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জাতীয় সংসদের কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন এমপি, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. মাহবুবুর রহমান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রচলিত রপ্তানি পণ্যের পাশাপাশি অপ্রচলিত পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি করতে সরকার উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সরকার কৃষি পণ্য রপ্তানিতে শতকরা বিশ ভাগ নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করার ঘোষণা করেছে। অপ্রচলিত পণ্য হিসেবে বাংলাদেশে ফল রপ্তানি লাভজনক হবে।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ফলেও বাংলাদেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে যাচ্ছে। আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি ফল বাংলাদেশে উৎপাদিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের আন্তর্জাতিক চাহিদা মোতাবেক ফলের জাত উদ্ভাবন করতে হবে। ফল প্রক্রিয়াকরণ আধুনিক করতে হবে। বাংলাদেশের ফল রপ্তানি যোগ্য করে তুলতে হবে। দেশের মানুষের পুষ্টির চাহিদা পূরণের জন্য ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। ফল রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম