বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রীর
দীপক চৌধুরী : বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুটি ভ্রাতৃপ্রতীম দেশের নিজস্ব স্বার্থেই এটি করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিনতি মোহাম্মদ তাইব গতকাল প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয়ে অবহিত করেন।
বৈঠকে দারিদ্র্য দূরীকরণে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রুততার সঙ্গে দেশের উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে কানেকটিভিটি উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ-ভূটান-ইন্ডিয়া-নেপাল (বিবিআইএন) মোটর ভেহিকেল অ্যাগ্রিমেন্ট সম্পাদন এবং বাংলাদেশ-চীন-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার (বিসিআইএম) অর্থনৈতিক করিডর প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব উদোগের ফলে আমাদের সামনে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে কানেকটিভিটির এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
এ সময় কানেকটিভি সম্প্রসারণের পাশাপাশি দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদার করার উপরও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাখাতে পারস্পরিক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালয়েশীয় সরকারের সহযোগিতাতেই দেশের মহেশখালিতে বর্তমানে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।
এ সময় দেশের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ মালয়েশিয়ার সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী হাইকমিশনারকে অবহিত করেন।
প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য স্বল্প ব্যয়ে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে রাজধানীর অদূরে মালয়েশিয়ার সহযোগিতায় শেখ ফজিলাতুন্নেসা কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ করার কথাও উল্লেখ করেন।
বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, সেই সফরের মাধ্যমেই আমাদের ভাতৃপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের ভীত রচিত হয়। যা এখনও অটুট রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।