বউকে ‘হাল্কা’ প্রহারের বিষয়ে পাকিস্তানি ধর্মীয় নেতার বক্তব্য
সারোয়ার জাহান : চলতি মাসের শুরুর দিকে পাকিস্তানের ইসলামী আদর্শবিষয়ক কাউন্সিলের প্রধান মুহাম্মদ খান শেরানির সুপারিশ করেছিলেন স্বামীরা বউদের ‘হাল্কা’ প্রহার করতে পারে। আইনগত বাধ্যবাধ্যকতা না থাকলেও এ বক্তব্য পাকিস্তানে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। দেশটির নারী অধিকার আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা করছেন পাকিস্তানের সমাজে যখন নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার হার খুবই বেশি, তখন এধরনের আইনের সুপারিশ নারীর ওপর পুরুষদের সহিংসতা, নির্যাতন আরও বাড়বে।
পাকিস্তানের ইসলামী আদর্শবিষয়ক কাউন্সিলের প্রধান মুহাম্মদ খান শেরানির বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাতে জানান, ‘কোনো মহিলা বৈবাহিক জীবনে তার দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে প্রথমে তাকে পরামর্শ দিতে হবে। তাতে কাজ না হলে মহিলার আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেটাও কাজ না করলে তার সঙ্গে এক বিছানায় শোয়া বন্ধ করতে হবে। এসব কিছুই ব্যর্থ হলে, শেষ উপায় হিসাবে হাল্কা প্রহার চলতে পারে।’
বিবিসি : একজন পুরুষ যদি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে নারীর কী করা উচিত?
শেরানির : প্রথমে ওই নারী সমস্যা সমাধানে পরিবারের কারও সাহায্য নিতে পারে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি তার মনে হয়, তার পক্ষে এই পুরুষের সঙ্গে থাকা অসম্ভব, তাহলে তার তালাকের অধিকার আছে।
বিবিসি : এই সুপারিশ পাকিস্তানি সমাজে বিশাল বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক মাধ্যমে এ খবর প্রচারিত হয়েছে। আপনি কি মত বদলাবেন?
শেরানির : সমাজ সংবাদ মাধ্যম নয়। দুটো আলাদা জগত। আমরা এই সুপারিশ পুনর্বিবেচনা করব না। সূত্র : বিবিসি বাংলা