অরিজিৎ দাস চৌধুরি : আত্মহত্যারই পথ বেছে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী জিয়া খান, খুন হননি তিনি। নানা মৌখিক, লিখিত, বৈজ্ঞানিক ও ফরেনসিক তথ্যপ্রমাণ পরীক্ষানিরীক্ষা করে সিবি আই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। এ ব্যাপারে বম্বে হাইকোর্টকে জানিয়ে দিয়েছে তারা। ‘নিঃশব্দ’ অভিনেত্রীর মা রাবিয়া খান তাঁর মেয়ের মৃত্যু রহস্যে এসআইটি বা বিশেষ তদন্তকারী দল চেয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন। দাবি করেন, সিবি আই যেন এই মামলায় মার্কিন এফবি আইয়ের সাহায্য চায়। জবাবে সিবি আই আদালতে বলেছে, আর তদন্ত নিষ্প্রয়োজন, উঠে আসা নানা তথ্যপ্রমাণ থেকে পরিষ্কার, জিয়া আত্মহত্যা করেছিলেন।
সিবি আইয়ের দাবি, জিয়ার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে যে সুইসাইড লেটার উদ্ধার হয় তা লিখতে তিনি যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে ফ্ল্যাটে ৩৫ মিনিটেরও বেশি একা ছিলেন তিনি, চিঠি লেখার পক্ষে সময়টা যথেষ্ট। সে সময় বয়ফ্রেন্ড সুরজ পাঞ্চালির সঙ্গে দু’বার ফোনে কথা হয় তাঁর, একবার ৪০০ সেকেন্ড ও দ্বিতীয়বার ১১ সেকেন্ডের জন্য, তারপরেও তাঁর হাতে প্রচুর সময় ছিল।
‘নিঃশব্দ’ ও ‘গজনি’-র মত কয়েকটি ছবিতে কাজ করে পাদপ্রদীপের আলোয় এসেছিলেন অকালমৃতা জিয়া খান। ২০১৩-র তেসরা জুন মুম্বইয়ের জুহুর অ্যাপার্টমেন্টে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বয়ফ্রেন্ড সুরজ পাঞ্চালির সঙ্গে অশান্তির জেরে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে খবর। আবার তদন্তের প্রয়োজনীয়তা সিবি আই অস্বীকার করলেও তারা জানিয়েছে, জিয়ার মৃত্যুর এক ঘণ্টা আগে সুরজের সঙ্গে তাঁর যে মেসেজ চালাচালি হয়, সুরজ তা ডিলিট করে দিয়েছিলেন। বাবা আদিত্য পাঞ্চালির কথায় তিনি এই কাজ করেন বলে তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে।
জিয়ার মা রাবিয়ার অনুরোধে হাইকোর্ট এই মামলার শুনানি ৬ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রেখেছে। সিবি আইয়ের বক্তব্য খতিয়ে দেখতে সময় লাগবে বলে তাঁর আইনজীবীরা আদালতে সময় চেয়েছিলেন।
সূত্র- এবেপি আনন্দ