ওমর মতিনের স্ত্রীকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে মার্কিন মিডিয়া!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জাহিঅরল্যান্ডোর হামলাকারী ওমর মতিনের দ্বিতীয় স্ত্রী নুর জাহি সালমান দাবি করেছেন, তাকে নিয়ে গুজব ছড়াচ্ছে মার্কিন মিডিয়া। ইন্সটিটিউট ফর পাবলিক অ্যাকুরেসি এর যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক স্যাম হুসেইনি মতিনের স্ত্রী জাহির সঙ্গে থাকা নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছেন। জাহি সালমান দাবি করেছেন, বন্দুক হামলা ঠেকানোর জন্য তার কিছু করার ছিল না। অবশ্য তদন্তসূত্র এফবি আইকে উদ্ধৃত করেই জাহির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছে মার্কিন মিডিয়া। সেইসব অভিযোগকে জাহি গুজব বললেও গুজব নির্মাণের ক্ষেত্রে সরাসরি এফবি আইকে দায়ী না করে মিডিয়ার বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তবে এর আগে ব্রাজিলের এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মতিনের সাবেক স্ত্রী সিতোরা ইউসুফি সরাসরি বলেছিলেন, তিনি এফবি আইয়ের চাপে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অরল্যান্ডোর নাইটক্লাবে হামলার পর এফবি আইয়ের তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন হামলাকারী মতিনের দুই স্ত্রী। তাদেরকে নিয়ে সরব মিডিয়াগুলোও। হাফিংটন পোস্ট
কখনও নামোল্লেখ ছাড়া তদন্ত সূত্রের বরাত দিয়ে আবার কখনও নামোল্লেখহীন অন্য সূত্রের বরাত দিয়ে তাদেরকে নিয়ে এক এক জায়গায় এক এক ধরনের খবর বের হচ্ছে। কোনও সূত্রেই সুনির্দিষ্ট নাম-পরিচয় না থাকায় সেগুলোর যথার্থতাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় তাই প্রশ্ন উঠেছে, আসলেই কি ভুয়া তদন্ত সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন মিডিয়া গুজব ছড়াচ্ছে? নাকি এফবি আই-এর তদন্ত সূত্রই গুজব ছড়াচ্ছে? নাকি মতিনের স্ত্রীই নিজেকে বাঁচাতে মিথ্যে বলছেন? এইসব প্রশ্নের কোনও সুরাহা করা যাচ্ছে না।
ইন্সটিটিউট ফর পাবলিক অ্যাকুরেসি এর যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক স্যাম হুসেইনি। তিনি দাবি করেছেন, এখন জাহির সঙ্গে অবস্থানরত তার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র তাকে জাহির ক্ষুব্ধ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। জাহি অভিযোগ করেছেন, যাদের দায় আছে তাদের নিয়ে খবর প্রকাশ না করে তার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্যাম হুসেইনি জানান, জাহির নিজের লেখা একটি বিবৃতি হাতে পেয়েছেন তিনি। সেখানে জাহি বলেছেন, তিনি কেবল ঘর, পরিবার আর শান্তি চেয়েছিলেন। কিন্তু মিডিয়ার মিথ্যাচারে তিনি দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
হুসেইনিকে জানিয়েছেন জাহিকে নিয়ে এবিসি, এনবিসি এবং ডেইলি বিস্টের খবরে গুজব ছড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে হাফিংটন পোস্টে একটি নিবন্ধ লিখেছেন হুসেইনি। জাহিকে নিয়ে যে সংবাদগুলো বিতর্ক তৈরি করেছে নিবন্ধে তার বিবরণ তুলে ধরেছেন তিনি। তার লেখায় যে নুর জাহি সালমানের বক্তব্যের যথাযথ প্রতিফলন ঘটেছে, তা প্রমাণ করতে গিয়ে হুসেইনি জানান, জাহি এই লেখা পড়েছেন।