সন্দেহভাজনের আটকে সিপিজে’র সাধুবাদ, আরেক প্রকাশকের মুক্তি দাবি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছর একটি প্রকাশনা কার্যালয়ে চালানো হামলায় অংশ নেয়ার অভিযোগে নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী গোষ্ঠির এক সদস্য আটক হওয়ার খবরকে স্বাগত জানিয়েছে সাংবাদিকদের বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে)। সংগঠনটির ওয়েবসাইটে একটি নিবন্ধতে বলা হয়, মোহাম্মদ সুমন হোসেন নামে ওই ব্যাক্তির গ্রেপ্তার এমন সময় এল, যখন বাংলাদেশজুড়ে সন্দেহভাজন হাজার হাজার সন্দেহভাজন অপরাধীদের ধরতে বড় অভিযান চলছে।
সেখানে বলা হয়, শুদ্ধস্বর প্রকাশনী সংস্থার ঢাকা কার্যালয়ের হামলায় সুমন হোসেন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তখন হামলাকারীরা দুই ব্যাক্তির দিকে বন্দুক তাক করে প্রকাশক আহমেদ রহিম টুটুল, লেখক রনদ্বীপ বসু ও তারেকুর রহিমের ওপর হামলা চালায়। শুদ্ধস্বর সেকুলার লেখকদের পাশাপাশি বাংলাদেশী আমেরিকান লেখক অভিজিৎ রায়ের বইও প্রকাশ করেছিল। গত বছর ঢাকার একটি বইমেলার বাইরে অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়। গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষ পর্যন্ত নরওয়েতে আশ্রয় পেয়েছেন টুটুল।
এদিকে, ফেব্রুয়ারিতে গ্রেপ্তার হওয়া ৭৩ বছর বয়সী আরেক প্রকাশক এখনও কারান্তরীন। তার আইনজীবী পারভেজ হাশেম বলছেন, বারবার জামিনাবেদন করা হলেও মুক্তি মিলছে না। বদ্বীপ প্রকাশনীর মালিক শামসুজ্জোহা মানিক বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বইমেলা থেকে আটক হন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি আইনের অধীনে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এ আইনানুযায়ী ধর্মের সমালোচনা ফৌজদারি অপরাধ। দোষী সাব্যস্ত হলে তার ১৪ বছর সাজা হতে পারে বলে জানান আইনজীবী হাশেম। মানিক সেকুলার বিতর্কের জন্য অধুনালুপ্ত বঙ্গরাষ্ট্র.নেট নামে একটি ওয়েবসাইটেরও প্রতিষ্ঠাতা। উগ্রবাদীরা হুমকি দিয়েছিল তাদের চোখে ইসলামের প্রতি অবমাননাকর এমন প্রকাশনার জন্য শামসুজ্জোহাকে কর্তৃপক্ষ আটক না করলে, সহিংস প্রতিশোধের শিকার হতে হবে।
সিপিজের এশিয়া প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর বব ডিয়েটয বলেন, ‘প্রকাশক আহমেদ রহিম টুটুলের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তের অগ্রগতিকে আমরা স্বাগত জানাই। আমাদের আশা, অন্য বাংলাদেশী প্রকাশক ও সাংবাদিক, যারা আক্রমণের শিকার হয়েছেন বা খুন হয়েছেন, তাদের মামলায়ও এ ধরনের অগ্রগতির দেখা মিলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে শামসুজ্জোহা মানিককে অবশ্যই অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। তাকে সাজা দিয়ে উগ্রপন্থীদের সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে, কর্তৃপক্ষ তাদের সহিংস হামলা মোকাবিলা করতে পারবে না।’ সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ