পুলিশ নিষ্ক্রিয় শতাধিক বরেণ্য ব্য ক্তকে হুমকি
আজাদ হোসেন সুমন : বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, মুক্তমনা ব্লগার, মন্ত্রী-এমপিসহ শতাধিক বরেণ্য ব্যক্তিকে গত এক বছরে দেওয়া হুমকির ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
জানা গেছে, থানায় দায়েরকৃত সাধারণ ডায়েরি করার পর থানা থেকে হুমকিপ্রাপ্ত ব্যক্তির বাসা বা অফিসে কয়েকজন পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়। সেটাও স্বল্প সময়ের জন্য। এছাড়া পুলিশ আর কোনো ব্যবস্থা নেয় না। সূত্রমতে, সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি হওয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিডির কপিতে একজন সাব ইন্সপেক্টরকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। কার্যত সেখানেই পুলিশের দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। বিশেষ ক্ষেত্রে হাতেগোনা এক দুটো ঘটনা ছাড়া বাকি জিডিগুলো ফাইল চাপা পড়ে যায়। আসামি শনাক্ত বা গ্রেফতারের চেষ্টাতো দূরের কথা হুমকিপ্রাপ্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা বা খোঁজ-খবরও নেওয়ার প্রয়োজনবোধ করে না পুলিশ।
জানাগেছে, গত এক বছরে শতাধিক বরেণ্য ব্যক্তিকে মোবাইল ফোনে, ম্যাসেজ পাঠিয়ে, ই-মেইলে এবং ডাকযোগে চিঠি পাঠিয়ে হুমকি দেয়া হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। পুলিশ বরাবরই এ ব্যাপারে নিস্ক্রিয় থাকে। ফলে হুমকীদাতা রয়ে যায় পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এ মহুর্তে রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হুমকির ঘটনা আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। সরকার ও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। হিন্দু কমিউনিটিকে সরকারের বিপক্ষে ক্ষেপিয়ে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে। এদিকে জনৈক হিন্দু ব্যবসায়ী কর্তৃক কলা বাগান থানায় দায়েরকৃত জিডির ( নং ১৮৮, তারিখ ৫ মে ২০১৬) তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহিরুল হকের কাছে জিডির সর্বশেষ পরিস্থিতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফাইল দেখে বলতে পারব। হুমকির শিকার ব্যবসায়ী বলেন, আমি জিডি করার পর এ পর্যন্ত পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে বলে আমার জানা নেই। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি