সামর্থ্য অনুযায়ী ফিতরা আদায় করুন
আমিন ইকবাল : কেবল নির্দিষ্ট পরিমাণ হিসাবে নয়, সামর্থ্যানুযায়ী বেশি বেশি ফিতরা (সদকাতুল ফিতর) আদায়ের পরামর্শ দিয়েছেন প্রিয় ডটকম প্রিয় ইসলামের এডিটর ইনচার্জ মাওলানা মিরাজ রহমান। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ তিনি বলেন, রমজানের রোজা ত্রুটিমুক্ত ও গরিবের ঈদকে আনন্দময় করতে আমাদের উপর সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে সব শ্রেণির মানুষ গতানুগতিক নির্ধারিত পরিমাণেই ফিতরা আদায় করে দায় সারার চেষ্টা করেন। অথচ বিষয়টি এমন নয়!
মাওলানা মিরাজ রহমান বলেন, সাহাবি হযরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমরা যাকাতুল ফিতর আদায় করতাম এক ‘সা’ খানা, অথবা এক ‘সা’ গম, অথবা এক ‘সা’ খেজুর, অথবা এক ‘সা’ পনির, অথবা এক ‘সা’ কিসমিস দিয়ে।’ অন্য হাদিসে আছে, আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নবী (সা.) এর যুগে আমরা সদকাতুল ফিতর দিতাম এক ‘সা’ খাদ্যবস্তু। তিনি বলেন, তখন আমাদের খাদ্য ছিল যব (বার্লি), কিসমিস-মোনাক্কা, পনির ও খেজুর। [সহিহ বোখারি : ১/২০৪-২০৫]। বর্ণিত দু’টি হাদিস থেকে বোঝা যায়, খাদ্যবস্তু ঘম, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যেকোনো একটির মাধ্যমে ফিতরা প্রদান করা যায়। তবে গমের ক্ষেত্রে পরিমাণ হতে হবে এক ‘সা’ বা পৌনে দুই সের। আর খেজুর, কিসমিস, পনির ইত্যাদির ক্ষেত্রে পরিমাণ হবে এর দ্বিগুণ তথা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম।
আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, সাধারণত রমজানের শেষ দিকে আমরা সদকাতুল ফিতর আদায় করে থাকি। নবীজি (সা.) বলেছেন, ঈদের মাঠে উপস্থিত হওয়ার আগে আগে তোমরা গরিবের হক আদায় করে দাও। গরিবের হক ‘ফিতরা’ আদায়ে আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম