রামকৃষ্ণ মিশনের পুরোহিতকে হত্যার হুমকি দিয়ে খুনের রাজনীতি প্রবেশ করল আরেক বলয়ে। একটা বিষয় মানতেই হবে, এ জাতীয় ঘটনার সূত্র আসলে অনেক গভীরে। সাধারণ মানুষ মেরে লাভ নেই এটা বোঝার পর খুনের শিকার হচ্ছিল লেখক, ব্লগাররা। পরে দেখা গেল, এটাতেও কাজ হচ্ছে না। সিনে চলে এলো, বিদেশ রিলেটেড মানুষজন। যাদের ডুয়েল সিটিজেনশিপ বা যাদের অন্যদেশের পাসপোর্ট আছে তাদের মেরে দেশ কাঁপানোর পাশাপাশি দুনিয়াকে খবর করার অপচেষ্টার পর এখন নেমেছে পুরোহিত, ভিক্ষু, সেবায়েতসহ সংখ্যালঘু নিধনে।
খবরে দেখলাম, জনতার হাতে ধৃত ফাহিম ক্রসফায়ারে মারা গেছে। বেঁচে গেছেন রিপন বাবু। কিন্তু ফাহিমের গডফাদার বা তার ভাষায় ‘মামা’ কে তো চেনা গেল না। এতো অনেকটা হিন্দি সিনেমার মতো। ফাহিমরা আসবে যাবে গডফাদার থাকবে নিরাপদে। আগেও লিখেছি, দেশ সমাজ কোথাও যেখানে উদারতা আর অসাম্প্রদায়িকতা নেই, সেখানে ফাহিমের জন্মানো কেউ ঠেকাতে পারবে না। এমনই মুশকিল, কিছু বলা বা লেখাও যায় না। সবই এখন স্পর্শকাতর। আজকাল কেউ একা নিজের আচার আচরণ পালন করে না। বাকিরা কি করছে তা নিয়ে অপার কৌতুহল আর বাড়তি আগ্রহ। রোজা রমজান আচার নিয়ে নয়, আসলে মাথাব্যথা অন্যকে বাধ্য করার। না পারলে হয় হয়রানি, নয়তো কতল করার সমাজ ফাহিমকে রুখতে পারবে কিসের জোরে? তারপরও সাহসী মানুষরা করে দেখালো। তারা তাদের কাজ করেছে। এখন দেখতে হবে সরকার ও রাজনীতি কিভাবে তা সামাল দেয়?
রামকৃষ্ণ মিশনে হুমকি দেশের সে রাজনীতিকেই সামনে আনছে যারা কোনোভাবেই সম্প্রীতি বা সমঝোতা চায় না। এটা কারা জিইয়ে রাখতে চায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।
লেখক : সিডনি প্রবাসী, কলামিস্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষক
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন