• প্রচ্ছদ
  • আমার দেশ
  • আমাদের বিশ্ব
  • খেলা
  • ইসলামি চিন্তা
  • অমৃত কথা
  • বিনোদন
  • আজকের পএিকা
    • প্রথম পাতা
    • শেষ পাতা
  • নগর সংস্করণ
  • মিনি কলাম
  • খ্রিস্টীয় দর্পণ
  • প্রবারণা পূর্ণিমা

আমার দেশ

কমে যাচ্ছে সাঁওতাল জনসংখ্যা

প্রকাশের সময় : June 19, 2016, 12:00 am

আপডেট সময় : June 18, 2016 at 9:37 pm

মো. আবু শহীদ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দিন দিন কমে যাচ্ছে আদিবাসী(সাঁওতাল) জনসংখ্যা। এক সময় এই উপজেলায় ৯৭টি আদিবাসী গ্রাম থাকলেও এখন আছে ৭২টি। জনসংখ্যা গত বিশ বছর আগে ৩১ হাজার থাকলেও এখন তা ১৪ হাজার নেমেছে। এভাবে দিন দিন কমে যাচ্ছে আদিবাসী জনসংখ্যা।
সমতলের বাসিন্দাদের সঙ্গে সামাজিক বৈষম্য, ভূমি নিয়ে সমতলের বাসিন্দাদের সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে অনেকে চলে যাচ্ছে দেশ ছেড়ে। এখনও যারা বসবাস করছেন তারা অধিকাংশই দারিদ্র্যর কষাঘাতে পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন। যায় ফলে আদিবাসী নারীদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। একারণে এই উপজেলায় আদিবাসী জনসংখ্যা গত ২০ বছরে ৫০ ভাগ নিচে নেমে গেছে।
একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য ও উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তথ্য মোতাবেক বর্তমানে এই উপজেলায় বসবাস করছেন ১৪ হাজার ১২০ জন আদিবাসী। বিদ্যালয়গামী উপযোগী আদিবাসী শিশুর সংখ্যা ৩৭০২ জন। এদের মধ্যে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ২৬৩১ জন।
নিয়মিত বিদ্যালয়ে যায় ১ হাজার ৭৫ জন। এদের মধ্যে ৫ম শ্রেণিতে ঝরে পড়ে ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী। বাকি ৫০ ভাগের মধ্যে ৩০ ভাগ ঝরে পড়ে এসএসসিতে। বাকি ২০ ভাগ উচ্চশিক্ষার জন্য লড়াই করলেও সফলতা পেয়েছে ৫ ভাগ মাত্র।
বর্তমানে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৭২টি আদিবাসী গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে এলুয়াড়ী ইউনিয়নে ১২টি, আলাদীপুর ই্উনিয়নে ৯টি, কাজিহাল ইউনিয়নে ১৭টি, বেতদীঘি ইউনিয়নে ১০টি, খয়েরবাড়ী ইউনিয়নে ৮টি, দৌলতপুর ইউনিয়নে ৬টি ও শিবনগর ইউনিয়নে ১০টি গ্রাম রয়েছে। অথচ ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ সালের তথ্য অনুযায়ী এই উপজেলায় আদিবাসী গ্রাম ছিল ৯৭টি।
তার মধ্যে এলুয়াড়ী ইউনিয়নে ছিল ১৫টি, আলাদীপুর ইউনিয়নে ১৭টি, কাজিহালে ২১টি, বেতদিঘীতে ১৮টি, খয়েরবাড়ীতে ১৪টি, দৌলতপুরে ৮টি, শিবনগরে ১২টি ও পৌরসভায় ২টি। কিন্তু আদিবাসী জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় আদিবাসী গ্রামগুলো কমে গেছে এবং অনেক গ্রামগুলো এখন পূর্বের থেকে ছোট হয়ে আসছে।
উপজেলার বিভিন্ন আদিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমতলের বাসিন্দাদের সঙ্গে তাদের দীর্ঘদিনের ভূমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই অনেক আদিবাসী হত্যাকা-ের শিকার হয়েছে। এ কারণেই অনেকে নিরাপত্তার অভাব মনে করে ভিটামাটি বিক্রি করে তারা পার্শ্ববর্তী দেশে চলে গেছে। এছাড়া এখন যারা বসবাস করে সে সকল আদিবাসীরা অধিকাংশই দরিদ্র। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সংসারের হাল টানতে আদিবাসী নারীরাই অন্যের বাড়ীতে মজুরী কাজ করে। তারা যে পরিমান শ্রম দেয় সেই পরিমাণ পুষ্টি জনিত খাদ্য না পাওয়ায় ৩৫-৪০ বছরের মধ্যেই তাদের প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। যার ফলে আদিবাসী জনসংখ্যা বৃদ্ধি না পেয়ে দিন দিন কমে যাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, আদিবাসীদের জীবন মান উন্নয়ের জন্য ৭টি বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) কাজ করছে।
উপজেলার সুধী সমাজের নাগরিকরা মনে করেন,আদিবাসীদের নিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলো কাগজে কলমে কাজ করছে। কিন্তু এর বাস্তব রুপ আদিবাসী জনগোষ্ঠিদের মধ্যে পড়ে নাই। যার ফলে আদিবাসীরা এই অঞ্চল থেকে দিনদিন কমে যাচ্ছে। আদিবাসীদের জীবন মান উন্নয়ন করতে হলে, আদিবাসী সমাজকে পরিবর্তন করে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলেই আদিবাসীরা সামাজিক বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

সম্পাদক

নাসিমা খান মন্টি

09617175101, 01708156820

[email protected]

১৩২৭, তেজগাঁও শিল্প এলাকা (তৃতীয় তলা) ঢাকা ১২০৮, বাংলাদেশ। ( প্রগতির মোড় থেকে উত্তর দিকে)