রূপগঞ্জে শিশুকে হত্যা
আরিফ হাসান আরব, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন তাওহিদ (৭) নামে এক শিশুকে হত্যার পর গুম করার উদ্দেশ্যে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। নিখোঁজের ৩ দিন পর শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাওহিদের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশু তাওহিদ উপজেলার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকার কবির হোসেনের ছেলে। রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভির হোসেন জানান, সকালে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে শিশু তাওহিদের মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসলে প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।
তাওহিদের পিতা কবির হোসেন অভিযোগ করে জানান, গত দুই বছর আগে কবির হোসেনের বড় ভাই কাদিরের মেয়ে কারিমার সঙ্গে একই এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে কাউসার মিয়ার প্রেম করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর কাউসারের পরিবার এ বিয়ে মানতে রাজি নয়। এর পর গত এক বছর আগে শশুর আনোয়ার হোসেন, জামাতা কাউসারসহ শশুরবাড়ির লোকজন কারিমাকে নির্যাতন চালিয়ে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে। এরপর গত ৩ মাস আগে ভাতিজি কারিমার বিষয়াদি নিয়ে কবির হোসেনের সঙ্গে আনোয়ার হোসেনের বাকবিত-া হয়। পরে উভয় পরিবারের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। ভাতিজি কারিমার পক্ষে মামলা গুলোতে সহযোগিতা করতেন কবির হোসেন। সেই থেকে কবির হোসেনের সঙ্গে আনোয়ার হোসেন, কাউসারদের পুর্ব বিরোধ চলে আসছিলো।
ওই বিরোধের জের ধরেই আনোয়ার হোসেন ও কাউসারসহ তাদের লোকজন গত বৃহস্পতিবার সকালে ছেলে তাওহিদকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে এবং গুম করার উদ্দেশ্যে শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয় বলে কবির হোসেন দাবি করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, লাশ নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।