গর্ভবতী নারীরা রোজা ভাঙতে পারবেন!
আমিন ইকবাল : গর্ভবতী নারীদের জন্য রোজা না রাখার অনুমতি রয়েছে ইসলামে। তবে এজন্য বিশেষজ্ঞ কোনো মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শ লাগবে যে, গর্ভ অবস্থায় এই নারী রোজা রাখলে তার বা তার গর্ভের ক্ষতি হতে পারে। ডাক্তার যদি ক্ষতি না হওয়ার কথা বলেন, তাহলে রোজা ভাঙা যাবে না। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন মুফতি আবু সাঈদ জুবায়ের। মুফতি আবু সাঈদ বলেন, গর্ভ অবস্থায় রোজা না রাখা নারীদের অনেকে মনে করেন, এসব রোজার জন্য কাফফারা দিলেই হবে। মূলত বিষয়টি এমন না। এ ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান হলোÑ কোনো নারী যদি গর্ভের কারণে রোজা রাখতে না পারেন, তাহলে পরবর্তী সময়ে ভাঙা রোজাগুলো কাযা করে নিবেন। কাফফারা দিলে হবে না। তবে কেউ যদি এমন হয় যে, অনেক বয়স বা স্থায়ী অসুস্থ হওয়ার কারণে তার পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব নাÑ তাহলে সে কাফফারা আদায় করতে পারবে।
দুগ্ধদানকারী নারীদের বিষয়ে তিনি বলেন, এক্ষেত্রেও একজন বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ডাক্তার যদি বলেন, রোজা রাখলে এ নারীর স্বাস্থ্য বা শিশুর ওপর খারাপ প্রভাব পড়বে, তাহলে সে রোজা ভাঙতে পারবে। আর ডাক্তার যদি বলেন, না ভাঙলে কোনো সমস্যা হবে না, তাহলে রোজা ভাঙতে পারবে না।
আমাদের সময় ডটকমের বিভাগীয় সম্পাদক আমিন ইকবালের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, রোজা অবস্থায় নারীরা লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারবেন। এতে রোজার কোনো সমস্যা হবে না। লিপস্টিক যদি সামান্য পরিমাণ গলায় বা মুখে চলে যায়Ñ তাহলেও কোনো সমস্যা নেই। তবে গলায় অনুভূত হয়Ñ এতটুকু পরিমাণ চলে গেলে রোজা নষ্ট হয়ে যাবে। লিপজেল-ভ্যাসলিন ব্যবহারের হুকুমও লিপস্টিকের হুকুমের মতোই।
রোজা অবস্থায় নারীরা তরকারির স্বাদ চেখে দেখতে পারবেন কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে মুফতি আবু সাঈদ বলেন, হ্যাঁ, কোনো মহিলার স্বামী যদি রাগী বা বদমেজাজি হন এবং তরকারিতে লবণ-মরিচ কম-বেশি হওয়ার কারণে স্ত্রীকে বকাঝকা করেন, তাহলে নারীর জন্য তরকারির স্বাদ চেখে দেখার অনুমতি রয়েছে। তবে সেটি যেন গলায় না চলে যায়Ñ সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম