‘স্বাক্ষর গ্রহণে প্রধান বাধা ছিল জামায়াত-শিবির’
রিকু আমির : সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়ায় আলেমদের স্বাক্ষর গ্রহণে এক লাখ আলেম, মুফতি ও ইমামের স্বাক্ষর সংগ্রহ কমিটি সবচেয়ে বেশি বাধাগ্রস্ত হয়েছে ‘জামায়াত-শিবির-জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী’র। এছাড়া জঙ্গিবাদী হামলার আশঙ্কায় যারা দস্তখত করতে চাননি তারা এবং হিংসুকের দল থেকেও বাধাপ্রাপ্ত হন এ কমিটির সদস্যরা। যদিও কওমি মাদ্রাসার আলেমরাও ফরীদ উদ্দীন মাসঊদকে সরকারপন্থি বিবেচিত করে ফতোয়ায় স্বাক্ষর প্রদান থেকে দূরে থাকেন। পরবর্তীতে হেফাজতের শরিক আলেমরাও স্বাক্ষরে এগিয়ে আসেন।
ফতোয়ার ‘প্রসঙ্গকথা’য় স্বাক্ষর গ্রহণ কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ লিখেছেন, ‘কিছু কিছু সমস্যার সম্মুখীন যে হতে হয়নি, তা নয়। তিন শ্রেণি থেকে আমাদের বাধাগ্রস্ত হতে হয়েছে। জামায়াত, শিবির ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী, আমরা জিহাদের বিরুদ্ধে কাজ করছি এই অপবাদ তুলে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসমূহে এরা নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে।’
মাওলানা মাসঊদ লিখেন, আরেকদল এমন যারা বিষয়টি সমর্থন করেছেন কিন্তু জঙ্গিবাদের হামলার শিকার হওয়ার আতঙ্কে দস্তখত করতে চাননি। আর এই আতঙ্ক তারা প্রচার করেছেন। তৃতীয় শ্রেণি সম্পর্কে মাওলানা মাসঊদ লিখেন, আরেক শ্রেণি হল হিংসুকরা।
জামায়াতের একজন কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা মাসঊদের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তার দাবি, জামায়াত এই কার্যক্রমে কোনো বাধা দেয়নি। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারবেন না মাওলানা মাসঊদ।
স্বাক্ষর গ্রহণ কমিটির যুগ্ম-সদস্য সচিব মাওলানা মাসঊদের সন্তান মাওলানা সদরুদ্দীন মাখনূন বলেন, বরাবরই বাংলাদেশে ইসলামের খেদমতের অন্যতম বাধা জামায়াত। বিশেষ করে ’৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে কোণঠাসা হয়ে ইসলামি রাজনীতিকে ভিন্ন পথে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করেছে। ফলে, জঙ্গিবাদবিরোধী কার্যক্রমে তারা বাধা হবে, এটিই স্বাভাবিক। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম