
বি. ডি. রহমত উল্লাহ
দুর্নীতির কারণে গ্যাস সঠিক সময়ে উত্তোলন করা হচ্ছে না। খুব শিঘ্রই আবার গ্যাস উত্তোলন করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। বহুদিন আগেই তেল ও গ্যাস উত্তোলন করা যেত। যেহেতু, জনগণের জন্য গ্যাসই একমাত্র সাশ্রয়ী জ্বালানি। গ্যাসের ব্যবহারের ক্ষেত্রে গরিব ও অসচ্ছল পরিবার এবং ধনী ও সচ্ছল পরিবারের গ্যাসলাইন বা গ্যাস বিল আলাদা করা সম্ভব নয়। ফলে, গরিব ও অসচ্ছল পরিবারকে এর জন্য বেশি মূল্য দিতে হচ্ছে। গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত জনগণই বেশি বিপাকে পড়বে। দেশে সিএনজি, বাস, ট্রাক, প্রাইভেট গাড়ি ইত্যাদি সব যানবাহনই গ্যাস ব্যবহার করে থাকে। গ্যাস দেশের সর্বজনীন সম্পদ হিসেবে গণ্য। কোনোকিছুর মূল্যবৃদ্ধি পেলে ধনীদের কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। কিন্তু, দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষকে এর ভুক্তভোগী হতে হয়। দেশের একমাত্র বড় সম্পদ গ্যাস-এর মূল্যবৃদ্ধি হলে অর্থনীতিতে এর বিরাট প্রভাব পড়বে, অর্থনীতি ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে। জ্বালানি এমন একটা সম্পদ যা সমগ্র পৃথিবীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মূল্যবৃদ্ধি পেলে সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ে।
জনগণের উন্নতির জন্য জ্বালানির ওপর ভর্তুকি দেওয়া হয়। ভর্তুকি দেওয়ার কারণÑ জনগণ সহজে জ্বালানি পাবে, শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হবে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম ত্বরান্বিত হবে এবং সামগ্রিকভাবে সরকার ও দেশের উন্নতি হবে। অথচ বর্তমান সরকার ঠিক তার উল্টো পথে চলছে। ফলে, দেশে একধরনের স্থবিরতা নেমে আসবে। রান্না কম হবে, কম গাড়ি চলবে, শিল্প-প্রতিষ্ঠান কমে যাবে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হবে।
পরিচিতি : জ্বালানি বিশেষজ্ঞ
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন