স্পোর্টস ডেস্ক : প্রথম থেকেই একটার পর একটা আক্রমণ চালিয়ে গেলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-নানিরা। কিন্তু অস্ট্রিয়ার গোলরক্ষক রবের্ট আলমের যেন হিমালয়ের অপরিরোধ্য প্রাচীল। যাকে ভেদ করতে পারল না কেউই। স্পটকিকে গোল করে নায়ক হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা তারকা, কিন্তু পারলেন না।
১৮ জুন শনিবার রাতের এই গোলশূন্য ড্রয়ে ‘এফ’ গ্রুপের সেরা দুই দলের একটি হয়ে শেষ ষোলোয় ওঠার পথটা কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে গেল পর্তুগালের। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচেও পয়েন্ট হারানোর হতাশায় মাঠ ছাড়লো ২০০৪ আসরের রানার্সআপরা। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে শুরুতেই গোল খেতে বসেছিল পর্তুগাল, তবে মার্সেলের ক্রস গোল সামনে পেয়েও মাথা লাগাতে ব্যর্থ অস্ট্রিয়ার ফরোয়ার্ড মার্টিন হার্নিক। ত্রয়োদশ মিনিটে ম্যাচে প্রথমবারের মতো পর্তুগিজ আক্রমণভাগকে স্বরূপে দেখা যায়। প্রতিপক্ষের বাধা এড়িয়ে জোরালো শট নেন নানি। গোলরক্ষক সেটা ফিরিয়ে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, ফিরতি বলে মিডফিল্ডার জোয়াও মৌতিনিয়োর লম্বা শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক রবের্ট আলমের।
২১তম মিনিটে এ পর্যন্ত সবচেয়ে সহজ সুযোগটি লক্ষ্যভ্রষ্ট শট করে নষ্ট করেন রোনালদো। তার ঠিক ছয় মিনিট বাদে নানির হেড ভাগ্যের ফেরে পোস্টে লাগলে পর্তুগিজদের মনে হতাশার জন্ম নিতে করে। শেষমেষ পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হলো পর্তুগীজদের।
৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে হাঙ্গেরি। আইসেল্যান্ডের পয়েন্টও পর্তুগালের সমান ২। অস্ট্রিয়ার পয়েন্ট ১। শনিবার রাতের এই গোলশূন্য ড্রয়ে ‘এফ’ গ্রুপের সেরা দুই দলের একটি হয়ে শেষ ষোলোয় ওঠার পথটা কিছুটা হলেও কঠিন হয়ে গেল পর্তুগালের।