ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান গেল ত্রিপুরায়
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে মাসুলসহ ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রমের প্রথম চালান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় পৌঁছেছে। উদ্বোধনের তিনদিন পর রবিবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় চারটি গাড়িতে করে ৮৪টন রড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ করে।
এর আগে দুপুর দুইটার দিকে ভারতীয় রড বোঝাই তিনটি ট্রাক ও একটি ট্রেইলর আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়ার উদ্দেশ্যে ছাড়ে। গাড়িগুলো বেলা তিনটার পরে আখাউড়ার পৌঁছার সময় বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী তাকজিল খলিফা কাজল ও ভারতের দায়িত্বে থাকা ডারসেল লজিস্টিক লিমিটেডের ম্যানেজার সজিত রায়ের কাছে পণ্যের কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়। এ সময় দু’দেশের কাস্টমস কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আশুগঞ্জ নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. শাহ আলম জানিয়েছেন, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে ভারতীয় পণ্যবাহী ৩টি ট্রাক আখাউড়ার দিকে আশুগঞ্জ থেকে ছেড়ে যায়। সাপ্তাহিক ছুটি ও কাগজপত্র প্রস্তুত করার কারণে পণ্য নিতে দু’দিন দেরি হয়।
পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে থাকা আনবিস ডেভেলপমেন্টের ইনচার্জ মো. মাকসুদুর রহমান জানান, পুলিশি পাহারায় আশুগঞ্জ থেকে এসব গাড়ি আখাউড়ায় আনা হয়। পথে কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই গাড়ি আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছায়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরের ওয়্যারহাউজে আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ নৌ প্রটোকল (পিআইডব্লিউটিটি)- এর আওতায় ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। এর আগে বুধবার বিকেলে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তির আওতায় ভারতীয় ১ হাজার মেট্রিকটন লৌহজাত পণ্যবাহী এমভি নিউটেক-৬ জাহাজটি আশুগঞ্জ নৌবন্দরে নোঙর করে। ভারতীয় এই পণ্য পরিবহনের দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আনবিজ ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড। বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতীয় এসব পণ্য পরিবহনে প্রতি টনে ১৯২ টাকা ২২ পয়সা হারে মাশুল আদায় করা হবে।
এছাড়া ভয়েজ পারমিশন ফি, পাইলট ফি, বার্দিং (অবস্থান) ফি, ল্যান্ডিং ফি, চ্যানেল চার্জ ও লেবার হোলিং চার্জ সহ জাহাজটি থেকে বাংলাদেশ পাবে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৩শ ৬৫ টাকা। এর আগে দু’দফায় বিনা মাশুলে বিশেষ মানবিক কারণ দেখিয়ে ভারতের পালাটানা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারি যন্ত্রাংশ, কেমিক্যাল পদার্থ ও খাদ্যপণ্য ত্রিপুরা রাজ্যে ট্রান্সশিপমেন্ট করা হয়েছে। সম্পাদনা : হাসান আরিফ