আবারও জামিন নাকচ যৌন হয়রানিকারী সেই শিক্ষকের
আমির পারভেজ : যৌন হয়রানিকারী বেসরকারী আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের জামিন আবেদন আবারও নাকচ করেছে আদালত।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মুহাম্মদ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৬ মে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল হায়দার চৌধুরী শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দিয়েছিলেন।
এর আগে গত ৮ মে আহসানউল্লাহর এ সহকারী প্রক্টর এবং ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মামলাটিতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওইদিন আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরও আগে গত ৪ মে সিএমএম আদালত এই শিক্ষকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরপর গত ৫ মে ঢাকা সিএমএম আদালতে যৌনতার শিকার ভিকটিম পাঁচজন শিক্ষার্থী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২২ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গত ৪ মে দিবাগত রাতে এ অধ্যাপককে তার নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৩০ এপ্রিল যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ক্লাস বর্জন করে আন্দোলন শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আকস্মিক আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়। তৎক্ষণাৎ বৈঠকে বসে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্তৃপক্ষের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে চার দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
বেশ কয়েক বছর ধরে মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ করে আসছিলেন নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকের দাপটে সব মিলিয়ে যাচ্ছিল। নিপীড়নের শিকার ছাত্রীদের বেদনা অব্যক্তই থেকে যায়। তবে শেষ রক্ষা হলো না দাপুটে শিক্ষক মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসের। এ অভিযোগে গত ৪ মে রাতে আসাদুদৌলাহ আল সায়েম নামে এক শিক্ষার্থী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ