আজাদ হোসেন সুমন : যানজটের নগরী বলে পরিচিত রাজধানী ঢাকায় গতকাল রোববারের চিত্র ছিল আরও ভয়াবহ। রাজধানীর গুলিস্তান, মতিঝিল, মালিবাগ, শাহবাগ, ফার্মগেট এলিফ্যান্টরোড, ধানমন্ডিসহ প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে ছিল প্রচ- যানজট। মহাখালী থেকে সোনারগাঁ হোটেল মোড় পর্যন্ত যেখানে সাধারণত সময় লাগে ১৫ থেকে ২০ মিনিট গতকাল দুপুরের পর এই রাস্তায় সময় লেগেছে এক ঘণ্টারও বেশি। এসময় দুর্বিষহ যানজটের কবলে পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।
গতকাল সকালে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন ছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। এরপর বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে। মানববন্ধন উপলক্ষে রাজধানীর ১৫টি পয়েন্টে অবস্থান নেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এই দুই মানববন্ধনের প্রভাব পড়ে রাজধানীর রাস্তায়। উল্লেখিত সড়কগুলোতে একইস্থানে যানবাহনগুলো থমকে থাকতে দেখা যায়। যানজটে আটকে তীব্র গরমে যাত্রী সাধারণের অবস্থা তখন ত্রাহি মধুসূদন। চরম দুর্ভোগের শিকার যাত্রীদের অনেককেই বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে রওয়ানা দেন।
দুপুর গড়িয়ে বিকেলে যানজট ‘অসহনীয়’ আকার ধারণ করে। রাজধানীর বেশিরভাগ সড়ক যানজটে হঠাৎ থমকে যায়। সড়ক থেকে অলিতে-গলিতেও যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর সব সড়কেই প্রচ- যানজটের সৃষ্টি হয়। এদিকে রমজানে সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় সকাল নয়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। অফিস ফেরৎ মানুষের ঘরে ফেরার সময় এবং মানববন্ধন একই সময়ে হওয়ায় দুর্ভোগে পড়তে হয় মানুষকে। ভুক্তভোগীদের একজন ঘর্মাক্ত মুখে খুবই বিরক্তি নিয়ে বলেন, ‘রোজার সময় অফিস শেষে বের হয়েছি। গাড়িতে চড়ার মত অবস্থা নেই।’ সম্পাদনা: পরাগ মাঝি