গোয়েন্দা নজরদারি এড়িয়ে অর্ধশত সন্ত্রাসী কারাগার থেকে পালিয়েছে
আজাদ হোসেন সুমন : দুর্ধর্ষ ও চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে কারাগার থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে। অর্ধশত চিহ্নিত সন্ত্রাসী এভাবে বের হওয়ায় পর পুলিশের টনক নড়েছে। কৌশল করে অনেক আসামি জামিন পাওয়ার পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার বা কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি না নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা কারাগার থেকে মুক্তি নিচ্ছেন। পুরান ঢাকার গড ফাদার ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি শহীদ কমিশনার ও আরেক আন্ডার ওয়ার্ল্ডের রিং লিডার তনাই মোল্লা জামিন পেয়ে অন্য মামলায় গ্রেফতার এড়াতে কাসিমপুর কারাগার থেকে বদলি হয়ে ফরিদপুর কারাগার থেকে মুক্তি নিয়েছেন। এ বিষয়ে এক চিঠিতে পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামি ঢাকার বাইরের কারাগার থেকে মুক্তি পেলে পরবর্তী সময়ে গোয়েন্দা নজরদারি করা সম্ভব হয় না। এছাড়া পরবর্তী মামলায় তাদের গ্রেফতার করাও সম্ভব হয় না। এতে পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা থাকে।
সূত্র জানায়, চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের সাধারণত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাসিমপুর কারাগার-১ ও কাসিমপুর-২ ও কাসিমপুর হাই সিকিউরিটি জেলে রাখা হয়। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পাশাপাশি একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এ চার কারাগারে বিশেষ নজরদারি করে থাকে। এক্ষেত্রে পেশাদার অপরাধীরা জামিনে এসব কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও গোয়েন্দারা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই র্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জেলগেট থেকে জামিনে বের হওয়ার সময় বিপজ্জনক আসামিকে অন্য মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত পুলিশের চিঠিতে আরও বলা হয়, একাধিক মামলার আসামি চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা বুঝতে পারে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আবার তাকে গ্রেফতার করতে পারে। ফলে তিনি অন্য জেলায় তার নিজস্ব লোক দিয়ে আদালতে সিআর করেন। পরে সিআর মামলার বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে- সংশ্লিষ্ট জেলা আদালতে হাজির করতে ওই জেলা কারাগারে রাখা হয়। তারপর ওই জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে গা ঢাকা দিয়ে ফের অপরাধে লিপ্ত হয়। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি