প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ : ফখরুল
কিরণ সেখ : তারেক রহমান সস্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অরুচিকর, কুৎসাপূর্ণ, অসংস্কৃত, উস্কানিমূলক, অহংকার, ঔদ্ধত্য, অপরিণামদর্শী ও ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের মানুষকে স্তম্ভিত করেছে। তার এ বক্তব্য দেশের রাজনীতিতে বিচ্ছেদ, বিনাস ও ব্যবধানের মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে। রাজনৈতিক সঠিকতা অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
গণগ্রেফতার ও ক্রসফায়ার থেকে জনগণনের ভিন্ন দৃষ্টি আড়াল করতেই তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসা রটানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার এ কুৎসামূলক আক্রমণের গুঢ় রহস্য হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে গণগ্রেফতার ও ক্রসফায়ার নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের যে ক্ষোভ জন্মেছে তা আড়াল করতেই প্রধানমন্ত্রী এমন বক্তব্য দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, হত্যার জন্য হুমকি-ধামকি এটা বাংলাদেশের শাসকদলের বৈশিষ্ট্য। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশে এটি কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। কারণ হুমকি শুধু বাংলাদেশেই সম্ভব। লন্ডনে বসবাসকারী কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কাউকে হত্যার হুমকি দেয়, সেই ব্যক্তি কী আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে পারে?
লন্ডনে বসে তারেক রহমান হত্যার হুমকি-ধামকি দিচ্ছেনÑ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ ও বিদেশের কোনো মানুষই কখনই কোনো দিন শোনেনি। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার আক্রোশের কারণটি হচ্ছে- শেখ হাসিনা হাজারো কুৎসা ও মিথ্যা প্রচারণা চালানোর পরও তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি মজবুত আসন করে নিয়েছেন, যা অন্য কেউ পারেনি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, এসব গুপ্তহত্যা ও অপপ্রচার থেকে বের হয়ে আসুন। দেশে রক্ষা করতে, জনগণের ভোটাধিকার এবং সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আর সেই নির্বাচন অবশ্যই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে হতে হবে।
দেশের জনগণকে তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, অবশ্যই আইনবহির্ভূত সব হত্যাকা-ের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চৌধুরী কামাল ইবনে উইসুফ, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম