ধারণক্ষমতার তিনগুণ কারাবন্দি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মাহমুদুল আলম : ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ বন্দি রয়েছে দেশের অধিকাংশ কারাগারে। জাতীয় সংসদকে এই তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। গতকাল সংসদ অধিবেশনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানিয়ে বলেন, জেল কোড অনুযায়ী প্রতিজন বন্দির শোয়ার জায়গা ৩৬ বর্গফুট হিসেবে কারাগারে ধারণক্ষমতা নির্ধারিত হয়। অধিকাংশ কারাগারে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বা তিনগুণ বন্দি অবস্থান করছে।
বন্দিদের আবাসন সমস্যা দূর করতে সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কারাগারগুলো পুনঃনির্মাণে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করছে বলে জানান মন্ত্রী। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশের মোট ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্ত ভারতের সঙ্গে এবং ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত মিয়ানমারের সঙ্গে। এ দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ছিটমহল, অপদখলীয় ভূমি, অচিহ্নিত সীমানা ইত্যাদি বিষয়ে যে বিরোধ ছিল তা ১৯৭৪ সালে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি এবং ২০১১ সালের প্রটোকল বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এরইমধ্যে ফেনীর মুহুরী নদী এলাকা ছাড়া সব সীমান্ত এলাকায় সীমানা পিলার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও আরব আমিরাতের সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হস্তান্তর চুক্তি বিদ্যমান আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, র্যাবের কর্মকা- পরিচালনায় অফিস ভাড়া বাবদ বছরে ৬ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যয় হয়। তবে র্যাবের জন্য ভবন তৈরির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এ জন্য ঢাকায় র্যাব সদর দফতর, উত্তরা, মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, পল্লবী, কামরাঙ্গিরচর, গাজীপুর, রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর ও ময়মনসিংহে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী