দুই সপ্তাহে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সাত জঙ্গিসহ নিহত ১৭
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : গত দুই সপ্তাহে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে ১৭ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭ জনকে জঙ্গি বলে দাবি করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। বাকিরা ডাকাত সদস্য ও বিভিন্ন হত্যা এবং অস্ত্র মামলার আসামি।
মাদারীপুরে কলেজ শিক্ষক হত্যাচেষ্টার সময় হাতেনাতে জনতার হাতে গ্রেফতার ফয়জুল্লাহ ওরফে ফাহিম রিমান্ডে থাকা অবস্থায় গত ১৮ জুন পুলিশের বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। গত ১৫ জুন যশোর, পাবনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ৩ জন নিহত হন। এরমধ্যে যশোরের মণিরামপুরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজ্ঞাত এক যুবক নিহত হন। একই দিন পাবনার পদ্মারচরে রুবেল হোসেন নামে এক যুবক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। নিহত রুবেল পুলিশ সদস্য সুজাউল ইসলাম হত্যায় জড়িত অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন। একই দিনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জীবন মিয়া নামে এক ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। গত ১৪ জুন জয়পুরহাটে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন সোহেল ও মনিরুজ্জামান মনির নামে ২ যুবক। এদের মধ্যে সোহেল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একে আজাদ হত্যা মামলার আসামি। ১১ জুন নড়াইলের লোহাগড়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে রাকিব শেখ নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। পুলিশের দাবি, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রাকিব। গত ৯ জুন রাজধানী ঢাকা ও গাইবান্ধায় পৃথক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় ৩ জন। ওইদিন রাজধানীর রামপুরায় র্যারেব সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন জামাল পারভেজ (৪২) নামে এক ব্যক্তি। প্রায় একই সময়ে টঙ্গী এলাকায় নজরুল ইসলাম নামে অপর এক ব্যক্তি র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। র্যাবের দাবি, নিহত উভয় ব্যক্তি ‘ছিনতাইকারী’। একইদিন পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে গাইবান্ধায় এক ব্যক্তি নিহত হন। এই ঘটনায় নিহত ব্যক্তি জেএমবি সদস্য বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া গত ৮ জুন বগুড়া ও যশোরে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ২ জন নিহত হন। বগুড়ায় নিহত ব্যক্তির নাম কাউছার আলী (২৫)। পুলিশের দাবি, কাউছার জেএমবির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি বগুড়ার আলোচিত শিয়া মসজিদে হামলার সঙ্গে জড়িত। অপরদিকে যশোরে নিহত ব্যক্তি ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত ৭ জুন রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তারেক হোসেন মিলু ওরফে ইলিয়াস ওরফে ওসমান (৩৫) ও সুলতান মাহমুদ ওরফে রানা ওরফে কামাল (৪২) নামে দুই ব্যক্তি। এছাড়া রাজশাহীতে জামাল উদ্দিন নামে একজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিহতের নাম রুবেল মিয়া (২৮)।
পুলিশ জানিয়েছে, পল্লবীতে নিহত দুজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক রেজাউল করিম হত্যা, দিনাজপুরের ইস্কন মন্দিরে হামলা এবং বগুড়া শিয়া মসজিদে হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা দুজনই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এর মধ্যম সারির নেতা ছিলেন। আর রাজশাহীতে নিহত জামাল বাগমারায় সৈয়দপুর গ্রামে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত রুবেল মিয়া আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সর্দার ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম