একাধিক ব্লগার হত্যার হোতা জঙ্গি শরীফ ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : একাধিক ব্লগার হত্যার হোতা শরিফুল ওরফে শরীফ ওরফে হাদী-১ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। গত শনিবার রাতে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন একথা বলেন। নিহত শরিফুল পুরস্কার ঘোষিত ৬ জঙ্গির একজন বলে পুলিশ দাবি করে ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রকাশক টুটুল হত্যাচেষ্টায় গ্রেফতার আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য শিহাব ওরফে সুমনে কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে রামপুরা বনশ্রী এলাকার জে ব্লকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে তিনজন দ্রুতগতিতে ডিবির চেকপোস্ট অতিক্রম করার সময় তাদের থামতে বলা হয়। কিন্তু তারা নির্দেশনা অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করেন এবং ডিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। পরে ডিবিও পাল্টা গুলি চালালে মোটরসাইকেলসহ তিন আরোহী রাস্তায় পড়ে যান। দুজন দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও গুলিবিদ্ধ এক যুবক ঘটনাস্থলেই পড়ে থাকেন। গুলিবিদ্ধ ওই যুবককে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মোস্ট ওয়ান্টেড ছয় জঙ্গির ছবির সঙ্গে মিলিয়ে ডিবি পুলিশ নিশ্চিত হয় তিনি আনসারুল্লাহর সামরিক শাখার শীর্ষ নেতা শরিফুল ওরফে শরীফ ওরফে হাদী-১।
পুলিশ জানায়, টিএসসিতে খুন হওয়া ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকা-ে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন শরীফ। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে তার বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এ ছাড়াও শরীফের নেতৃত্বে খুন করা হয় নীলাদ্রী নীলয়, রিয়াদ মোর্শেদ বাবু, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নাজিমউদ্দিন সামাদ এবং কলাবাগানের জুলহাজ মান্নান ও তন্ময়কে।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে ছয় জঙ্গির ছবি প্রকাশ করে ডিএমপি। একইসঙ্গে ওই ছয় জঙ্গি সম্পর্কে তথ্যদাতাকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। ছয়জনের মধ্যে শরীফের নাম প্রথমে ছিল। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম