পুলিশ কর্মকর্তাকে চড়-থাপ্পর কনস্টেবলদের মারধর ছাত্রলীগের
নাটোর প্রতিনিধি : ছাত্রলীগ কর্মীর রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোটরসাইকেল জব্দ করায় নাটোরের বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পর মারার পরও শুধুমাত্র হাত ধরেই ক্ষমা পেলেন বড়াইগ্রাম থানা ছাত্রলীগ সভাপতি। ছাত্রলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান জিন্না বনপাড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা চেয়ারম্যান নিহত সানাউল্লাহ নূর বাবু হত্যা মামলার প্রধান আসামী জাকির হোসেনের ছোট ভাই। এছাড়া জিন্নাহও প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা বাবু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
রোববার গভীর রাতে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পুলিশের বড়াইগ্রাম সার্কেল এ এসপি শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই মিমাংসা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ ঘটনায় বনপাড়া বাজার এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।
জানা যায়, রোববার বিকালে বনপাড়া বাজারে বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য লাইসেন্সবিহীন মোটর সাইকেলের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। এ সময় একজন ছাত্রলীগ কর্মীর মোটরসাইকেলের লাইসেন্স না থাকায় সেটি আটক করেন কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা। কিছুক্ষণ পরে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কেএম জাকির হোসেনের ছোট ভাই জিল্লুর রহমান জিন্নাহ মোবাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলামকে মোটরসাইকেলটি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেন। কিন্তু তাতে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য আশরাফুল ইসলাম রাজি না হওয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান জিন্নাহ ১৫-২০ জন নেতা-কর্মীসহ সেখানে এসে উপস্থিত হন।
এসময় উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং প্রকাশ্যে জনসাধারণের মাঝে এলোপাথাড়ি চড়-থাপ্পড় মারতে থাকেন। এ সময় পুলিশ কনস্টেবলেরা এগিয়ে এলে তাদেরকেও মারপিট করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। পরে পিক-আপে করে উপ-পরিদর্শক আশরাফ দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেলটি নিয়ে চলে যান।
এ ব্যাপারে বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান জিন্নাহ জানান, পুলিশের ওই কর্মকর্তা রেরিস্ট্রেশনসহ মোটর সাইকেল আটক করে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। মারপিট বা লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেনি।