দক্ষিণ বগুড়ায় দেড়বছরে নিহত ৪২
প্রবীর মোহন্ত, বগুড়া : উত্তরাঞ্চল তথা দক্ষিণ বগুড়া (বগুড়ার শেরপুর) মহাসড়কের ২২ কিলোমিটার ২৮টি ডেথস্পটে গত দেড় বছরে সড়ক দুঘটনায় নিহত হয়েছে ৪২ জন। আহত হয়েছে অসংখ্য আর পঙ্গুত্ব বরণ করেছে কয়েক হাজার। দিন যতই গড়াচ্ছে ততই লম্বা হচ্ছে নিহতের তালিকা। বাড়ছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান।
অনেকেই মনে করছেন মহাসড়কের দুইধার দখল করে বসত বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্টান করার কারনে সরু হয়েগেছে মহাসড়কের পরিধি। অথচ দিন দিন বেড়েই চলেছে যানের সংখ্যা দুঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে এটাই দেখছেন তারা। সর্বপোরি ফুটপাত দখলের পর রাস্তা দখল করে হয়েছে প্রতিষ্ঠান।
এমনকি এক শ্রেণীর জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় মহাসড়কের দুই ধার ঘেঁসে প্রায় ১২টি কাঁচাবাজার বসিয়েছে। যা সকাল থেকে রাত্রী ১১টা পর্যন্ত চলে জমজমাট ভাবে। এছাড়াও বাসের ছাদে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, মহাসড়কের অপ্রসস্থ বাঁক, বেপরোয়া চালনা, ফিটনেছ বিহীন যান দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে তারা জানায়।
জানাগেছে, দক্ষিন বগুড়ার শেরপুরে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ২০ জুন পর্যন্ত পল্লী উন্নয়ন একাডেমী থেকে চানাইকোনা বাসস্ট্যান্ড ২২ কিলোমিটর রাস্তায় শুধু নিহত হয়েছে ৪২ জন। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, এমাসের ১৬ জুন ট্রাকের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে নববধু নিহত, ৩জুন পাথর বোঝাই ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১০ জন, ২৩ মে এক মহিলা, ১৭ মে ২ জন, ২২ মার্চ ৫ জনের মৃত্যু হয়। এতে আহতের সংখ্যা প্রায় হাজারের মতো। ক্ষতির পরিমান কয়েক কোটি টাকা। ১ মাসে ছোট ও বড় ধরনের দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতসহ দুঘটনা ঘটেছে প্রায় ৪৫টি।
বগুড়া জেলা বাস কোচ মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব ইছাহাক আলী বলেন, দ্রুত মহাসড়ক চারলেনে উন্নিত করতে হবে। মহাসড়কের দুইপাশে গড়ে উঠা হাটাবাজার ও প্রতিষ্ঠান সরাতে হবে। এক্ষেত্রে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে।
শেরপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, চালকদের বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনা, গাড়ি চলানোর সময় মোবাইল ব্যবহার, চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানোকেই বেশির ভাগ দুঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।
শেরপুর থানার ওসি খান মো. এরফান বলেন, অসচেতন পথচারী, অদক্ষ চালক,মহাসড়কে যেখানে সেখানে গাড়ি পাকিং, ট্রাফিক আইন না বোঝা, হেলপার দিয়ে গাড়ি চালনা এসকল কারনে মহাসড়কে দুর্ঘটনা বেশি ঘটে থাকে বলে তিনি মন্তব্য করেন।