ফ্ল্যাটের পর প্লটও দেওয়া হবে সংসদ সদস্যদের
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় কমে আসছে সরকারের খাস ভূমি। ফলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে রাজউক থেকে আর জমি বরাদ্দ দেবে না সরকার। এর পরিবর্তে সহজ শর্তে ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্ট দেওয়া হবে। সংসদ সদস্যদের জন্যও তাই একই নিয়ম করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। গতকাল জাতীয় সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ প্রস্তাব দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিন্ন স্বরে প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সংসদ সদস্যরা। এরপর মন্ত্রী ফ্ল্যাট দেওয়ার পর তাদের প্লটও দেওয়া হবে বলে জানান।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন। এ সময় সংসদে কিছুটা শোরগোল দেখা দিলে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া সদস্যদের থামতে বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটা প্রকল্প বছরের পর বছর চলতে পারে না। তাই আমরা ঠিক করেছি ২০১৮ সালের ভেতরে পূর্বাচল নতুন শহরের কাজ শেষ করবো। এই পূর্বাচল শহর হবে একটি নতুন ও স্মার্ট শহর। এখানে ক্যাবল ও সাবমার্চ ক্যাবল সব মাটির নিচে থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার জিটুজি পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ৮ হাজার ৪৫১ অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করছে। এসব অ্যাপার্টমেন্টে চার বছরে অর্ধেক টাকা দিয়ে অ্যাপার্টমেন্ট গ্রহণ করা যাবে। বাকি অর্ধেক ১৬ বছরে ৯ শতাংশ সার্ভিস চার্জ হারে পরিশোধ করতে পারবে।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সংসদ সদস্য যারা জমি চাচ্ছেন, আমি মনে করি জমি না নিয়ে এই সুযোগ গ্রহণ করুন, অ্যাপার্টমেন্ট নেন। মন্ত্রীর এ প্রস্তাবে নো নো বলে সমস্বরে প্রতিবাদ করেন উপস্থিত সংসদ সদস্যরা। তারা চান প্লট। এসময় কিছুক্ষণের জন্য কথা বলা বন্ধ করে দেন মন্ত্রী।
পরে ডেপুটি স্পিকারের হস্তক্ষেপে আবার বক্তৃতা শুরু করে মন্ত্রী বলেন, অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার পরও আমি নতুন প্রকল্প নেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করছি। প্রস্তুতি অনেক দূর এগিয়েও গেছে। এখানে প্রায় ২ হাজার ২০০ একর জমির উপর নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার পরও সেখানেও আপনাদের প্লট দেওয়া হবে। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম