সংসদে আলোচনা গুপ্তহত্যা করে দেশকে বিভক্তির মুখে ঠেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: সংসদ সদস্যরা বলেছেন, দেশকে বিভক্তির মুখে ঠেলে দিতে অপরাজনীতি করছে একটি অশুভ শক্তি। তারা দেশবিরোধী নানা চক্রান্ত করছে। তবে কোনো ষড়যন্ত্রই সরকারের অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারবে না।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্যরা এসব কথা বলেন। এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত দেশের ক্ষতি করেছে, দেড় হাজার গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে, শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। একটি মহল গুপ্তহত্যার মাধ্যমে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে, দেশের উন্নয়নকে থমকে দিতে চাচ্ছে। কিন্তু তাদের এই আশা কোনোদিন ফলপ্রসূ হবে না।
তরিকত ফেডারেশনের এম এ আউয়াল বলেন, দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চলছে। নতুন আলামত গুপ্তহত্যা। সরকারের অগ্রযাত্রাকে গুপ্তহত্যার মাধ্যমে ব্যাহত করার চক্রান্ত চলছে। দেশকে বিভক্তির মুখে ঠেলে দিতে অপরাজনীতি করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এক নেতা সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। যা দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী, এটা হাল্কাভাবে দেখলে চলবে না।
জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বিশাল ঘাটতি বাজেট সম্পর্কে বলেন, এই বাজেটে দেশীয় শিল্প মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে।
জাতীয় পার্টির পীর মিজবাহুর রহমান বলেন, বাজেটে যেভাবে গণহারে ভ্যাট আরোপিত করা হয়েছে, তাতে বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা হবে না। আর্থিক সেক্টর গত সাত বছরে তছনছ হয়ে গেছে। এই সময়ে ৩০ হাজার কোটি টাকা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে লুণ্ঠন হয়েছে, কিন্তু কোনো বিচার করা হয়নি। পুঁজিবাজার থেকে ১৫ হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে, নিঃস্ব হয়ে গেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। কাউকেই বিচারের আওতায় আনা হয়নি। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম