উদ্ধার করা অস্ত্রের চালানটি দেশ জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের : ডিএমপি কমিশনার
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, উত্তরার অস্ত্র চালানটি সাধারণ কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না। এটি দেশ ও জাতিকে নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী চক্রের কাজ। যারা দেশে অশান্তি সৃষ্টি করে অসাধু উদ্দেশ্যে ক্ষমতা দখল করতে চায় তারাই এ কাজ করতে পারে।
গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। কমিশনার বলেন, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুটি জিডি করা হয়েছে এবং ডিবির চৌকস অফিসাররা এটি তদন্ত করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের ভিতরে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য এ অস্ত্র আনা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশের জোর তৎপরতার কারণে সন্ত্রাসী চক্র দিয়াবাড়ির ওই নির্জন এলাকায় অস্ত্রগুলো রেখে পালিয়ে যায়। তবে কারা এবং কী উদ্দেশ্যে এ অস্ত্রগুলো এনেছিল এ ব্যাপারে তদন্ত করে বলা হবে এবং যারাই জড়িত থাক তাদেরকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।
কমিশনার বলেন, অস্ত্রগুলোর গায়ে কোনো লেখা নেই, এমনকি লট নম্বর ও সিরিয়াল নম্বরও লেখা নেই। তাই এগুলো কোন দেশের তৈরি এটা বলা সম্ভব নয়। তবে অস্ত্রগুলো যে একটি বড় সন্ত্রাসী চক্রের একথা অনায়াসে বলা যায়।
এসময় কমিশনার ঢাকা মহানগর পুুলিশের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্লগার হত্যার অধিকাংশ মামলা ডিটেক্ট করাসহ বেশ কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তাবিরোধী কোনো ধরনের কার্যক্রম বরদাস্ত করা হবে না। ঢাকা মহানগরীকে নিরাপদ করতে আমরা প্রতিনিয়ত চেকপোস্ট, ব্লকরেইড ও বিভিন্ন ধরনের তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি