ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মীর কাসেম আলী
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-াদেশপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয়েছে বলে কারাগারের জেলার নেছার আলম জানিয়েছেন। এর আগে একটি প্রিজনভ্যানে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে কাসেম আলীকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ।
গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনাল ও আপিল বিভাগের দেওয়া ফাঁসির রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন কাসেম আলী। ৬৮ পৃষ্ঠার এ আবেদন আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন তার আইনজীবীরা। এতে সর্বোচ্চ সাজার বিরুদ্ধে মোট ১৪টি যুক্তি দেখানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া মৃত্যুদ- বহাল রেখে গত ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার সংক্ষিপ্ত আকারে চূড়ান্ত রায় দেন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। রায়ে শহীদ কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে হত্যা-গণহত্যার দায়ে ফাঁসির দ-াদেশ বহাল রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম অঞ্চলে মানবতাবিরোধী অপরাধের মূলহোতা মীর কাসেম আলীর।
গত ৬ জুন ২৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন সর্বোচ্চ আদালত। পাঁচ বিচারপতির রায়ে স্বাক্ষরের পর তা প্রকাশিত হয় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে। রায়টি রাতেই বিচারিক আদালতে গেলে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হক এবং বিচারিক প্যানেলের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল। এর পরপরই মৃত্যু পরোয়ানাসহ পূর্ণাঙ্গ রায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারসহ স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়, ঢাকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (জেলা প্রশাসক) কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
৭ জুন সকালে কাশিমপুর কারাগার পার্ট-২ এর কনডেম সেলে থাকা কাসেম আলীকে মৃত্যু পরোয়ানা ও পূর্ণাঙ্গ রায় পড়ে শোনানো হয়। আইন অনুসারে পরোয়ানা শোনার পর থেকে মীর কাসেম আপিল বিভাগের চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ রায়ের রিভিউ আবেদন করতে পারবেন ১৫ দিনের মধ্যে, যার শেষ দিন ছিল গতকাল সোমবার। রিভিউ আবেদন খারিজ হলে সরকারের সিদ্ধান্তে শীর্ষ এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকরের চূড়ান্ত প্রক্রিয়া শুরু হবে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি