যমুনার গর্ভে শত শত বিঘা আবাদি জমি
রফিকুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গত সপ্তাহের টানা দুদিনের বর্ষনে গাইবান্ধার যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে অব্যাহত নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ও হলদিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৪শ বিঘা পাট ক্ষেত নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। গত সপ্তাহে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া বাজারসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার এবার আবাদী জমি ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় হতায় পড়েছে ভাঙ্গন কবলিত কৃষকরা।
সরে জমিনে দেখা গেছে, সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের প্রায় ২শ বিঘা পাট ক্ষেত সহ বড়মতাইড়, গোবিন্দি গ্রামে পুরোটাই নদী গর্ভে বিলিন হয়েছে। বরম তাইড় গ্রামের বাসিন্দা সোবহান আলী জানান, প্রায় ৩৫ বছরের স্মৃতি বিজরিত বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হওয়ার পর তার ৯ বিঘা জামির পাট ক্ষেত মাত্র ৩ দিনের বর্ষণে নদীর পানি বৃদ্ধির পেলে ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে।
একই উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে গোবিন্দপুর গ্রামের প্রায় ১’শ বিঘা জমির পাট ক্ষেত যমুনা নদীর গর্ভে বিলিন হয়েছে। এছাড়া হলদিয়া ইউনিয়নের কানাইপাড়া এলাকায় সরোজমিনে দেখা যায় অল্প সময়ে ১ বিঘা জমির পাট ক্ষেত যমুনা নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। কানাইপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম জানান, বড় বড় চাপা ধরে পাটের জমি নদীতে বিলিন হচ্ছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধের কথা শুনতে শুনতে আর ভাল লাগে না তবুও ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন কাজ হলো না। প্রতিদিন বিঘায় বিঘায় জমি নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে কোথায় কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না সরকার।
জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসের শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে জরুরী ভিত্তিতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার এক কর্মসূচী হাতে নেয়। হলদিয়া ইউনিয়নের কানাইপাড়ার ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় জরুরী ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নিক্ষেপ করে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হবে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রকাশ কুমার সরকার জানান, সাঘাটায় কৃষি জমি ব্যাপক হারে নদী গর্ভে বিলিন হচ্ছে। তাই সাঘাটার হলদিয়া, ভরতখালীসহ ফুলছড়ির গজারিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গন ঢেকাতে ২৫৮ কোটি টাকায় একটি প্রজেক্ট মন্ত্রণালয়ে অনুমোদিত করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এই প্রজেক্ট পাশ হলেই এলাকায় স্থায়ী ভাঙন রোধ ও ব্যবস্থা গ্রহণ সম্ভব হবে।