মুসলিম তিন পরিবারকে ভ্যাটিকানে নিলেন পোপ
রাশিদ রিয়াজ : গ্রিসের লেসবোস দ্বীপপুঞ্জ থেকে ফেরার পথে তিন মুসলিম পরিবারকে ভ্যাটিকানে নিয়ে এসেছেন ফ্রান্সিস পোপ। সিরিয়ার ঘরহারা তিন মুসলিম পরিবারকে পোপের ভ্যাটিকানে নিয়ে আসা যেন শরণার্থীদের প্রতি ইউরোপের ‘অমানবিক’ আচরণের জবাব। ইউরোপ প্রতিটা সন্ত্রাসীহানার পর মুসলিম শরণার্থীদের প্রতি ঘৃণার দৃষ্টিতে তাকিয়েছে। প্রাণ হাতে করে গ্রিসে আসা শরণার্থীদের মুখের উপর বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্ত। পোপের এ পদক্ষেপ সেখানে ইউরোপকে এক কঠিন জবাব দিল বটে।
পোপ অবশ্য বলছেন, মানবিকতার খাতিরেই তিনি এমনটা করেছেন। তার ভাষায়Ñ ‘এটা তো মহাসাগরে এক বিন্দু জলের মতো, আমি তো নিজে তাঁদের বাছাই করে আনিনি। এই পরিবারের কাগজপত্র সব ঠিকঠাক ছিল। দুটি খ্রিস্টান পরিবারও ছিল, কিন্তু তাঁদের কাগজপত্র ঠিকঠাক ছিল না। ধর্ম কোনো বাছাইয়ের মানদ- হতে পারে না। সব শরণার্থীই ঈশ্বরের সন্তান।
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাক থেকে শয়ে শয়ে শরণার্থী গত দুবছরে তুরস্কে এসে ভিড় জমিয়েছেন। তাদের ঘরছাড়া হতে বাধ্য করার পেছনে কোন কোন পরাশক্তি জড়িত তা জানলেও এ নিয়ে কোনো খবর প্রচার করতে রাজি নয় বিশ্বমিডিয়া। সাগর পথে শরণার্থী হয়ে আশ্রয় খুঁজে পেতে মারা যাচ্ছে হাজারো মানুষ। পশ্চিমা বিশ্ব নির্বিকার।
সেখানে পোপের বার্তা, ‘বহুসংখ্যক শরণার্থী সামলানোর ব্যাপারে ইউরোপের ভয় আমি বুঝি, কিন্তু তাঁদের স্বাগত জানানোর ব্যাপারেও আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। প্রাচীর তোলা কোনো সমাধান নয়। পোপের এই সফরে সামিল হয়েছিলেন ‘ইস্টার্ন অর্থোডক্স ক্রিশ্চিয়ানাটির দুই ধর্মযাজকও। লেসবোস সমুদ্র উপকুলে ডুবে যাওয়া শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রার্থনাও করেন তাঁরা। এর আগেও শরণার্থীদের পা ধুইয়ে দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন পোপ। এ বার শরণার্থী পরিবারের সমস্যার কথা শুনে তাঁর আশ্বাসÑ ‘আপনারা একা নন, আশা হারাবেন না। ‘বিশ্বের কাছে তাঁর বার্তা, শরণার্থী সমস্যাকে মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখার চেষ্টা করুন। টাইমস অব ইন্ডিয়া