সিএমপি ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের পৃথক জঙ্গি তালিকায় রয়েছে এক নারীও
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : চট্টগ্রাম নগর ও জেলা পুলিশের তরফ থেকে জঙ্গিদের আলাদা আলাদা করে তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকায় অর্ধশতাধিক জঙ্গির নাম রয়েছে। তবে সেখানে এবার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এক নারীর নামও। তিনি পেশায় আইনজীবী হলেও তাকে জঙ্গি নেত্রী হিসেবে পুলিশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি তিনি জামিন পেয়েছেন। তার সহযোগী আরও চারজনেরও নাম রয়েছে ওই তালিকায়। তাদের হামজা ব্রিগেডের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার নাম চট্টগ্রামের নগর পুলিশ ও জেলা পুলিশ এই দুই তালিকায় রয়েছে। কেবল তাই নয়, জাতীয় পর্যায়ে জঙ্গিদের যে তালিকা সেখানেও একটি গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে তার নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তিনটি তালিকাতে তার নাম রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা অভিযান শেষ করেছি মানে এই নয়, এই অভিযান আর চালানো হবে না। এই অভিযান যেকোনো সময়ে পরিচালনা করা হবে। কেবল জঙ্গিদের ও সন্ত্রাসীদের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ও গোয়েন্দারা সময় নিবে। যখনই তালিকাভুক্তদের ব্যাপারে নিশ্চিত জানতে পারবে তখন অভিযান পরিচালনা করবে। পাশাপাশি তালিকায় যাদের নাম নেই তাদেরও কেউ যদি অপরাধ করে ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে, সন্ত্রাসী কর্মকা-ে মদত দেয় তাদের ধরার জন্য অভিযান পরিচালনা করবে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে জেলা পুলিশের জঙ্গির তালিকায় ৫৩, আর সিএমপির তালিকায় রয়েছে ৫৯ জন। এই তালিকা সব সময়ই তারা আপডেট করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আমরা জঙ্গিদের ধরার জন্য বিশেষভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। এই পর্যন্ত আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জঙ্গিদের তালিকা হালনাগাদ করেছে। ওই হালনাগাদ করার পর তাদের সব ধরনের তথ্যও হাল নাগাদ করার চেষ্টা করেছে। ইতোমধ্যে করাও হয়ে গেছে। যাদের নাম তালিকায় রয়েছে তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন জেলায়, থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে। যেসব জঙ্গিকে এর আগে ধরা হয়েছিল এরমধ্যে যারা জামিন পেয়েছেন তাদের উপরও নজর রেখেছে, যাতে করে তারা নতুন করে কোনো ধরনের জঙ্গি কর্মকা- করতে না পারে। কেবল চট্টগ্রাম নয় আমরা রাজধানী ঢাকাসহ সব জেলায়ই অভিযান পরিচালনা করব। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম