বন্দিত্বের চার বছর জুলিয়ানের
আমির পারভেজ : উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ সেন্ট্রাল লন্ডনের ইকুয়েডরের দূতাবাসে চার বছর ধরে বন্দি জীবনযাপন শেষ করে পা দিয়েছেন ৫ম বর্ষে। ১৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৩ ফুট প্রস্থের একটি ঘর। মাঝখানে দেয়াল দিয়ে বানানো হয়েছে দুটো কামরা। এর একটিতে ‘অফিস করেন’ এবং অন্যটিতে ঘুমান তিনি। সঙ্গী বলতে কেউ নেই। একাকিত্ব দূর করতে গত মে মাসে তাকে দেওয়া হয়েছে একটি বিড়াল। ডেইলি মেইল
ইকুয়েডরের দূতাবাসে এই স্বেচ্ছাবন্দী জীবনের চার বছর পূর্ণ করেছে গত রোববার। পঞ্চম বছরে পা রাখলেন অ্যাসাঞ্জ। এ উপলক্ষে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকেরা বক্তৃতা, গান, আবৃত্তি ইত্যাদির আয়োজন করেন। সেখানে তাদের অ্যাসাঞ্জের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করার কথা।
ওই অনুষ্ঠানে নোয়াম চমস্কি থেকে শুরু করে শ্যাটি স্মিথ, ব্রায়ান ইনো, পিজে হার্ভে, ইয়ানিস ভারোফাকিস, মাইকেল মুর, কেন লোচ ও ভিভিয়ান ওয়েস্টউডের মতো বুদ্ধিজীবীরা একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বহু অতিগোপনীয় নথি ফাঁস করে দিয়ে ঝড় তোলেন। এর কিছুদিন পর সুইডেনে তার বিরুদ্ধে এক নারী ধর্ষণের মামলা করেন। ওই মামলায় বিচারের জন্য যুক্তরাজ্য সরকার ২০১০ সালে তাকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ।
অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, সুইডেনে পাঠানো হলে সেখান থেকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং নথি ফাঁস করার জন্য সেখানে তার বিচার হবে। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ