পদপ্রত্যাশীদের দলের বকেয়া পরিশোধে চাপ দিলেন এরশাদ
রফিক আহমেদ : জাতীয় পার্টির দলীয় তহবিল শক্তিশালী করতে চান দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। যার ফলে তিনি সবাইকে অতীতের মাসিক সব বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করতে চাপ দেন। পদ-পদবী পাওয়ার আগের সব বকেয়া পরিশোধ সাপেক্ষে নতুন কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে হবে বলেও তিনি সাফ জানিয়ে দেন। এতে যারা দীর্ঘদিন দলীয় তহবিলে নিয়মিত চাঁদা দেননি- তারা বিপাকে পড়েছেন। জাতীয় পার্টির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র মতে, প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্য ৩ হাজার, উপদেষ্টা ২ হাজার ৫০০, ভাইস চেয়ারম্যান ২ হাজার, সম্পাদকম-লীর সদস্য ১ হাজার এবং সদস্যদের ৫০০ টাকা হারে দলীয় তহবিলে জমা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। জানা গেছে, এমন অনেক নেতা আছেন ২০১০ সালের জাপার কাউন্সিলের পর এ পর্যন্ত কোনো টাকাই পরিশোধ করেননি। সে হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির অধিকাংশ প্রতিজন সদস্যের কাছে ৫০ হাজারের বেশি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ৩৭ প্রেসিডিয়াম সদস্য, ৪১ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ৩৪ উপদেষ্টা, ১৬ যুগ্ম মহাসচিব, ৩৬ সাংগঠনিক সম্পাদক, ২৩ বিভাগীয় সম্পাদক, ২৩ যুগ্ম সম্পাদক এবং ৯৯ জন সদস্যসহ মোট ২৯৯ জনকে অতীতের সব মাসিক চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। তবে সূত্র আরও জানায়, আগামী ঈদের পর দলের বাকি পদের নেতাদের নাম ঘোষণা করা হবে। কমিটিতে দলের দুঃসময়ে সক্রিয় থাকা নেতারা ওই পদে ঠাঁই পাবেন।
সম্প্রতি দলটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ উল্লেখিত পদগুলোর তালিকা প্রকাশ করলেও কেউ কেউ এখনও প্রেসিডিয়াম পদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবীর জন্য জোর তদবীর চালিয়ে যাচ্ছেন। এজন্য এখনও রাতদিন কাকরাইল পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, এরশাদের বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক, এরশাদের বনানী কার্যালয় ও রওশন এরশাদের গুলশানের বাসভবনে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমরা সফলভাবে কাউন্সিল করতে পেরেছি। ১৪ মে দলটির অষ্টম কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে সারাদেশে দলটির নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠেছেন। তবে এবার সৎ, যোগ্য ও পরীক্ষিতরাই কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন এবং বাকিরা পাবেন।
পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সাল চিশতী বলেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও সাবেক সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একার পক্ষে এত বড় সংগঠন চালানো সম্ভব নয়। যার ফলে সবার সহযোগিতা নিয়ে দল চালানোর জন্য তহবিল গঠন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি