সরকারি চালের বস্তা বাজারে, অনুদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাহাড়িরা
গাজী মিরান : পাহাড়ের খাঞ্চির রেমাকি ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য সরকারের দেওয়া খাদ্য সহায়তার ছিটেফোঁটাও পৌঁছায় না গরিব আদিবাসীদের ভাগ্যে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সরকারের দেওয়া ভিডিএস প্রকল্পের নামও কোনো দিন শোনেনি পাহাড়ের ওইসব মানুষ। উল্টো সরকারের দেওয়া চালের বস্তা মিলছে স্থানীয় একটি বাজারে। একাত্তর টেলিভিশন
একসময় মংলা এলাকার মতো পাহাড়েও দরিদ্রদের বিজিডি ও বিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে চাল বিতরণ করে সরকার। যার ছিটেফোঁটাও পায় না পাহাড়ের খাঞ্চির রেমাকি ইউনিয়নের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দারা।
এদেশের একজন নাগরিক হিসেবে একজন মানুষ যে মৌলিক অধিকার পাওয়ার কথা, যেমনÑ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাÑ যার কোনোটাই পান না খাঞ্চির পাহাড়ি মানুষগুলো। তাই তারা নিজেদের হতদরিদ্রই বলছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন এ দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য চাল বা গম বরাদ্দ দিয়ে থাকে বিজিডি ও বিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে। খাঞ্চি ঘুরে দেখা গেছে বিজিডি ও বিজিএফ সম্পর্কে কিছুই জানে না সেখানে পাওয়া তো দূরের কথা। তাহলে কারা পায় সরকারের এই খাদ্য সাহায্য? এই প্রশ্নের জবাব মিলে খাঞ্চি বাজারে। খাঞ্চি বাজারে গিয়ে দেখা গেল একটি দোকানে সরকারের বরাদ্দ করা চালের বস্তা। যে বস্তায় লেখাও আছে এই চাল বাজারে বিক্রির জন্য নয়।
তাহলে কারা কিভাবে খোলা বাজারে বিক্রি করছে সরকারের বরাদ্দ চাল? জবাবে জনপ্রতিনিধিরা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় খুব অল্প পরিমাণ চালই অধিবাসীদের কপালে থাকে। আবার গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দ করা সেই চাল বিক্রি করে তোলা হয় চাল আসা নৌকার খরচ। ফলে পাহাড়িরা সরকারের বরাদ্দ থেকে বঞ্চিত থাকে বছরের পর বছর। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ