লিহান লিমা : হ্যাকারদের চুরি করা ৮১ মিলিয়ন ডলার দ্রুত ফিরিয়ে আনতে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের সাথে আলোচনা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। রয়টার্স
ঢাকা এবং নিউইয়র্ক অফিস জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন এবং তার আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধান ১৫ জুলাই নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ অফিসে দেখা করবেন।
উভয় পক্ষই গত মে মাসে সুইজারল্যান্ডের বাসেলে এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। এই সময় নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ এবং সুইফট-এর কর্মকর্তারা বাংলাদেশ ব্যাংককে টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে সাহায্য করার জন্য রাজি হন। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেন, নিউইয়র্ক ব্যাংকে রাখা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আমানতের ভবিষ্যৎ ব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।
নাম না প্রকাশের শর্তে ব্যাংক নিয়মের কথা বলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি টাকা উদ্ধার করার জন্য একটি আলোচনা কিন্তু সেখানে অন্যান্য বিষয়ও থাকবে। ফেডারেল আমাদের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে। আমরা তাদের কাস্টমার, তারা মনে করেছে আমাদের আলোচনা করা প্রয়োজন।’
তবে তিনি নিশ্চিত নন সুইফট এই মিটিং-এ অংশ নেবে কিনা। সুইফট এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
৪ মাস আগে সুইফট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে হ্যাকাররা টাকা ফিলিপাইনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে। যদিও তদন্ত কার্যক্রমে চোখে পড়ার মতো কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি। টাকার অধিকাংশই ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে ঢুকেও উধাও হয়ে যায়। তদন্তে কার্যক্রমে ধীরতা দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক নিউইয়র্ক ফেডারেল এবং ফিলিপাইন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্যে টাকা ফেরত নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছে।
বাংলাদেশ পুলিশের তদন্ত কমিটি জানায়, এক বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর সুইফট ম্যাসেজিং নেটওয়ার্ক ঠিক করার সময় সুইফট-এর কর্মকর্তারা নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি করেছিলেন। সুইফট এটি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, ‘সুইফট ম্যাসেজিং সিস্টেমের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হ্যাক হয়নি।’ সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ