আমিন ইকবাল : জাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকÑ এমন কারও মৌলিক প্রয়োজনীয় ঋণ থাকলেÑ সেই ঋণ পরিমাণ সম্পদের জাকাত দেওয়া ফরজ বা আবশ্যক নয়। তবে সেই ঋণ যদি বিলাসিতা কিংবা ব্যবসায়ী ঋণ হয়Ñ তাহলে জাকাত ফরজ হবে এবং ঋণ থাকা সত্ত্বেও পূর্ণ সম্পত্তি হিসাব করে জাকাত আদায় করতে হবে। দৈনিক আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকম আয়োজিত রমজানবিষয়ক বিশেষ আয়োজন ‘আমাদের রমজান’-এ এসব কথা বলেন, বরেণ্য আলেম, মুফতি আবু সাঈদ জুবায়ের।
তিনি বলেন, উদাহরণ স্বরূপÑ কারও কাছে নগদ ১০ লাখ টাকা আছে। আবার মৌলিক প্রয়োজনে তার ঋণ আছে দুই লাখ টাকা। তখন দুই লাখ টাকা বাদ দিয়ে বাকি আট লাখ টাকার জাকাত দিতে হবে। তবে বিলাসিতা বা ব্যবসার জন্য যদি ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয়, তখন এক কোটি টাকা ঋণ থাকা সত্ত্বেও পুরো সম্পদের হিসাব করে জাকাত দিতে হবে।
দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র সহ-সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুবের উপস্থাপনায় তিনি আরও বলেন, এক বছর পূর্ণ হওয়ার দিন তার হাতে যে পরিমাণ সম্পদ থাকবে সেই সম্পদের হিসাব করে জাকাত দিতে হবে। সেদিন সম্পদ কম থাকলে কম সম্পদের জাকাত দিবে, বেশি থাকলে বেশির জাকাত দিবে। তবে কেউ যদি কৌশল করে ওই দিন হাতে টাকা না রাখার জন্য অগ্রিম কিছু করে নেয়Ñ যেমন জমি কিনে নেয় বা ফ্ল্যাট কিনে নেয়Ñ তাহলে এর জন্য পরকালে তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
স্বর্ণ বা রূপার কোনো দাম অনুযায়ী জাকাত দিতে হবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মহিলাদের ব্যবহৃত স্বর্ণ-রূপার ক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় উভয় মূল্যে জাকাত দেয়া যাবে। তবে ক্রয় মূল্য অনুযায়ী জাকাত দেওয়া উত্তম। আর জুয়েলার্স বা স্বর্ণের ব্যবসায়ীরা নিজেরা যে মূল্যে বিক্রি করবে, সে মূল্য অনুযায়ী জাকাত দিবে। অন্যান্য পণ্যের ব্যবসায়ীরা পণ্যের পাইকারী মূল্য অনুযায়ী জাকাত দিবে, এটাই উত্তম। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম